সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Corona Virus)আতঙ্ক কাটেনি এখনও। আগের বছরের মতো এ বছরও তাই স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, এখনও স্কুলই খোলেনি বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ। কিন্তু শিক্ষাবর্ষ তো থেমে থাকবে না। তাই চলতি শিক্ষাবর্ষেও দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা হবে বিকল্প পদ্ধতিতেই। সোমবার মূল্যায়নের বিস্তারিত জানিয়ে দিল বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রবিবারই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার থেকে স্কুলগুলিতে বিতরণ করা হবে অ্যাসাইনমেন্টের কপি। ছাত্রছাত্রীরা তা স্কুল থেকে সংগ্রহ করবে।
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে খবর, মোট ২৪ টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। সময় ১২ সপ্তাহ। তার মধ্যে এই অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে জমা দিতে হবে স্কুলে। এইচএসসি অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনটি অপশনাল বিষয়ের (Optional Subject) উপর অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে তাদের। একেকটি বিষয়ের উপর মোট ৮ টি অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment)হবে। এমনিতেই মহামারী পরিস্থিতিতে পাঠ্যসূচি অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। শিক্ষাদপ্তরের মতে, ওই পাঠ্যসূচির মূল্যায়ন এই কয়েকটি অ্যাসাইনমেন্টেই হয়ে যাবে। বাংলা, ইংরাজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলিতে অবশ্য এরকম কিছু করতে হবে না। এই বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে আগের জেএসসি, এসএসসি এবং সমমানের নম্বরের উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র তিনটি বিষয়েই এই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে।
গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে এলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে গ্রুপভিত্তিক শুধু তিনটি অপশনাল বিষয়ের উপর পরীক্ষা হবে। সময় ও পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা। তবে সবটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর। হলে বসে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে অ্যাসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করেই মূল্যায়ন হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.