Advertisement
Advertisement
ভালবাসা

লকডাউনে ভালবাসারও পরীক্ষা! সম্পর্ককে সাবলম্বী হতে শেখাচ্ছে করোনা

মানসিক আবেগ দিয়ে জুড়ে রাখুন ভাসবাসার সম্পর্ক, মত বিশেষজ্ঞদের।

Have Faith in your love and make it trong with ur emotions
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 3, 2020 4:30 pm
  • Updated:April 3, 2020 5:17 pm

প্রীতিকা দত্ত: করোনার প্রভাব শুধু মানুষের স্বাস্থ্য নয়, প্রভাব ফেলেছে মানুষের মনেও। সামাজিক দূরত্বের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সম্পর্কের মাঝেও। লকডাউনের ফলে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি, আটকে পড়েছেন অন্য কোথাও, অন্য কোনও রাজ্যে। ভালবাসার সম্পর্কে ও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই করোনা।

এখন শুধু কলকাতার অলিগলি কেন মোহরকুঞ্জের বাঁকা পথ, রবীন্দ্র সদনে বাইরে থাকা চায়ের ঠেক, গঙ্গার ঘাট, সিনেমা হলগুলিতে রয়েছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তাই বলে কি একলা ঘর আমার দেশ হয়ে থাকবেন? একেবারেই না, মানসিক আবেগ দিয়ে ধরে রাখুন সম্পর্ককে। ঘরবন্দি জীবনে দিনের পর দিন কাটছে ফোন, ভিডিও কল, ও চ্যাট করে। ভালবাসার সম্পর্ক এখন নির্ভর করে রয়েছে ভার্চুয়াল জগতের উপরে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে যা বাড়তি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের। জেন জেডের ভাষায় ‘লাভ ইন দ্য টাইম অফ করোনা’। হাজার হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব তাই এখন মিটছে ইন্টারনেটের সাহায্যে। তবে অনেকেরই মতে ঘরে বন্দি থেকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাও একটা চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি সমীক্ষা বলছে, লকডাউন পিরিয়ডে বাম্বেল বা টিন্ডারের মতো ডেটিং অ্যাপে ৩৫ শতাংশ ট্রাফিক বেড়েছে। ডেটিং অ্যাপ ছাড়াও হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারেও ভিডিও চ্যাট চলছে দেদার। একসঙ্গে রান্না করা থেকে গভীর রাতে কথোপকথন, অথবা অফিসের মিটিং। সবটাই এখন ইন্টারনেট নির্ভর।

Advertisement

[আরও পড়ুন:নমাজের নামে লকডাউনের নিয়ম ভাঙা ‘হারাম’, তবলিঘি জামাতকে একহাত মুসলিম ধর্মগুরুর]

মাসখানেক আগে সিয়াটেল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন পিয়ালি চক্রবর্তী। মাঝে লকডাউনের জেরে দু’-দু’বার বিমানের টিকিট কেটেও ক্যানসেল করতে হয়েছে, ফলে বাড়ি ফেরা হয়নি। পিয়ালি চক্রবর্তী বলেন,”আমার স্বামী বিদেশে। আমি এখানে আটকে। ভিডিও চ্যাট ছাড়া আর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। টাইট জোন আলাদা হলেও সেভাবেই ম্যানেজ করতে হচ্ছে। অফিসের মিটিংও করছি ভিডিও কনফারেন্সে”।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বড় সাফল্য, আয়ুর্বেদ আর হোমিওপ্যাথিতেই প্রিন্স চার্লসকে সুস্থ করেছেন ভারতীয় চিকিৎসক]

অন্যদিকে গড়িয়ার অর্পিতা তিন-চার দিনের জন্য বীরভূমে কীর্ণাহারে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান গিয়ে তিনিও আটকে পড়েছেন চলতি লকডাউনে। বিমা সংস্থায় চাকুরিরত তাঁর স্বামী রয়েছেন কলকাতার ফ্ল্যাটে। তবে চাকরির কারণে যারা ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে রয়েছেন তাদের কাছে অবশ্য লকডাউন কোনও নতুন বাধা নয়। তারা এই বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত। সম্পর্ক ভাল রাখতে বিশেষজ্ঞদের মত, “একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। শারীরিক উপস্থিতি নয়, মানসিক আবেগের সঙ্গে জুড়ে থাকুন একে অপরের সঙ্গে। সেটা ভিডিও চ্যাটে হলেও সমস্যা নেই, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। তাই লকডাউনে কোনও সম্পর্ক নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ