দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সতর্ককতায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলেও পলিটেকনিক ও আইটিআইগুলি খোলা! কারিগরি শিক্ষা দপ্তর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে শুধু ক্লাস না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার ফলেই এই আজব কাণ্ড চলছে।
শিক্ষক, প্রশিক্ষক এবং কর্মীরা আসছেন। হস্টেল ছাড়তে পারছেন না পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং করোনা সতর্ককতার অঙ্গ হিসাবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত শনিবার নবান্ন থেকে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি থাকবে। সোমবার তা বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল করা হয়েছে। এদিনও মুখ্যমন্ত্রীই বর্ধিত ছুটির কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষকরা চাইলে বাড়ি থেকে কাজ করবেন। কিন্তু এদিনও পলিটেকনিক এবং আইটিআইগুলিতে শিক্ষক এবং প্রশিক্ষকরা গিয়েছেন। হস্টেলগুলিতেও ছাত্রছাত্রীরা আছেন।
[আরও পড়ুন : চিকিৎসা এড়িয়ে পালালে ‘মহামারি আইনে’ গ্রেপ্তার রাজ্যে, জানুন কী এই আইন]
দপ্তরের অধিকর্তা শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। তাঁর কথায়, “সংবাদ মাধ্যমে জেনে আমি কিছু করতে পারব না। লিখিত কোনও নির্দেশ এলে তা মানব।” স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মধ্যে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কারিগরি শিক্ষা দপ্তর বিষয়টিতে উদাসীন কেন। তাহলে কি নবান্ন থেকে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরে ফাইল পৌঁছয়নি? উত্তর দিতে নারাজ অধিকর্তা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিষয়টিতে ঝড় উঠেছে। দপ্তর শুধু ‘ক্লাস সাসপেন্ড’ করেছে। শিক্ষক এবং কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করার সাহস আসছে কোথা থেকে, এই প্রশ্নে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। আজ, মঙ্গলবার সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন দফতরের অতিরিক্ত সচিব বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য। দপ্তরের ভিতরে থাকা কোনও কর্তার ভুলেই যে এমন হয়েছে সেকথাও স্বীকার করেন তিনি।