সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘পোশাক’ সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেশজুড়ে বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ধর্মবিদ্বেষী এবং বিভাজনমূলক। তবে এই অস্থির পরিস্থিতিতে পরদিনই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে CAA নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে মুখ খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীর উদ্দেশে মোদির সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে পালটা কটাক্ষ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা নবাগতা বলিউড পরিচালক রেণুকা সাহানি।
“পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কারা হিংসা ছড়াচ্ছে”, রবিবার এমন মন্তব্যই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সোমবার কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেন তিনি। বরং তিনি ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন, ভারতীয় হলে তাঁর চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীরভাবে কষ্টদায়ক। বিতর্ক, আলোচনা এবং বিরোধিতা গণতন্ত্রের অত্যাবশ্যক অঙ্গ। কিন্তু কখনওই জনগণের সম্পত্তি এবং জনগণের রোজকার জীবনযাত্রা বিঘ্নিত করে নয়।” পাশপাশি আরও একটি টুইটে দেশবাসীকে হিংসার পথ অনুসরণ না করে সৌহার্দ্য, ভাতৃত্ব বজায় রাখার আরজি জানিয়েছিলেন মোদি লিখেছিলেন, “কোনওরকম ভুয়ো খবর এবং গুজবে কান দেবেন না।” আর প্রধানমন্ত্রীর এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতেই কড়া উত্তর দিলেন অভিনেত্রী রেণুকা।
[আরও পড়ুন: CAA বিরোধী আন্দোলনে পথে নামার ডাক ফারহানের, অভিনেতাকে হুঁশিয়ারি দিল মুম্বই পুলিশ!]
একেবারে স্পষ্ট ভাষায় মোদিকে লিখলেন রেণুকা, “বিজেপির আইটি সেলই বেশি সংখ্যক ভুয়ো খবর এবং গুজব ছড়ানোর জন্য দায়ী। যা একতা, সৌভ্রাতৃত্বের বিরোধী। ওদের বারণ করুন হিংসা-ঘৃণা যেন না ছড়ায়। ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ তো আপনার বিজেপিরই আইটি সেল স্যার।” রেণুকার এমন উত্তর মন জয় করেছে নেটিজেনদের একাংশের। প্রসঙ্গত, এর আগে এই রেণুকা সাহানিই বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সচেতনতা নিয়ে প্রচারেও তিনি নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা শোনা গিয়েছে অভিনেত্রীর মুখে। কিন্তু, এবার NRC, CAA নিয়ে এই অভিনেত্রীও পিছপা হলেন না মোদিকে বিঁধতে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ কেউ উসকানি দিয়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন, ভারতের কোনও নাগরিক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তাঁর কথায়, “আমি দৃপ্ত কণ্ঠে আমার সহ-নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভারতের কোনও ধর্মের কোনও মানুষের কোনও ক্ষতি এতে হবে না। এটা তাঁদের জন্য যাঁরা এতদিন বিদেশে অত্যাচারিত, কিন্তু ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশে যাওয়ার জায়গা নেই, এই আইন তাঁদের জন্য। সময় এসে গিয়েছে, আমদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। ভ্রাতৃত্ব এবং শান্তি বজায় রাখতে হবে। আপনাদের কাছে আমার আবেদন, সবরকমের প্ররোচনা ও অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন।”
[আরও পড়ুন:‘পেটে ভাত নেই, ভিটে মাটি চাঁটি করার আইন’, CAA’র বিরোধিতায় সরব কমলেশ্বর]
Sir, please ask people to stay away from all your IT cell Twitter handles then. They spread the most amount of rumours, falsehoods and are totally against brotherhood, peace and unity. The real.”tukde tukde” gang is your IT cell sir. Please stop them from spreading hate 🙏🏽🙏🏽 https://t.co/bMaXDFnvsP
— Renuka Shahane (@renukash) December 16, 2019