Advertisement
Advertisement
Rudranil Ghosh

‘সিটে কি করোনার ডিম রাখা আছে?’, প্রেক্ষাগৃহে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সোচ্চার রুদ্রনীল

মিটিং-মিছিল হতে পারলে সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে এত নিয়মের কড়াকড়ি কেন? প্রশ্ন তারকার।

Actor Rudranil Ghosh speaks his mind about New normal Cinema Hall opening norms | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:January 1, 2021 4:04 pm
  • Updated:January 2, 2021 10:26 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ নর্মালে শর্তসাপেক্ষে খুলেছিল সিনেমা হল। কিন্তু তাতে দর্শক কই? এই প্রশ্নের আবহেই ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছরের শেষ দিন মুক্তি পেয়েছে রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) অভিনীত ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। ছবি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সিনেমা হলের পরিবর্তিত নিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে রুদ্রনীল। প্রশ্ন তুললেন, “মিটিং-মিছিল যদি হতে পারে তাহলে সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে এত নিয়মের কড়াকড়ি কেন? সিটে কি করোনার ডিম রাখা রয়েছে নাকি?”

শুক্রবারের বদলে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ (Pratidwandi)। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই সিনেমা হলের প্রসঙ্গ ওঠে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছবি নিয়ে রুদ্রনীলের কী প্রত্যাশা? এর উত্তরেই টলিউড তারকা জানান, সিনেমা হলে দর্শক আনা শুধুমাত্র অভিনেতাদের কাজ নয়। তা পরিচালক-প্রযোজকদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে এবং তাঁরাও ভীষণভাবে চেষ্টা করছেন। এরপরই রুদ্রনীল জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে তাঁরা সাহায্য পাচ্ছেন না। কী কারণ? ব্যখ্যাটা কেমন? তার উত্তর দিতে গিয়েই বলেন, “যদি দেখতে যাই বাস, ট্রাম, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো সবেতে মানুষ যাতায়াত করছেন পাশাপাশি বসে। মিছিলে উপচে পড়া ভিড়, মিটিংয়ে উপচে পড়া ভিড়। ইনডোর মিটিংয়েও কেউ সিট ফাঁকা রেখে বসছেন না। রেস্তরাঁগুলোতে উপছে পড়ছে ভিড়। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। পার্টি জোনগুলিরও একই অবস্থা। কেনাকাটার জায়গা, ঘুরতে বেড়াবার জায়গাতেও ভিড়। সেখানেও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সিনেমা হলে ক্ষেত্রেই যাবতীয় নিয়ম। প্রেক্ষাগৃহে কারা যান? হয় পরিবার বা বন্ধু। যে পরিবার একসঙ্গে একই ঘরে থাকে, যে বন্ধু হাত ধরে সিনেমা দেখতে আসে তাঁদেরই আলাদা বসতে হচ্ছে। এখানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সব পোস্ট ডিলিট করলেন দীপিকা পাড়ুকোন, কিন্তু কেন?]

তাহলে কী করা যেতে পারে? রুদ্রনীলের কথায় “এটাও তো হতে পারে, একটা গ্রুপকে একসঙ্গে টিকিট দেওয়ার পর অন্য কাউকে একটা কিংবা দু’টো সিট গ্যাপে টিকিট দেওয়া হল। প্র্যাক্টিক্যালি না ভাবলে শিল্পটা ধ্বংস হয়ে যাবে।” দর্শকের অভ্যাস ইতিমধ্যেই পালটে OTT নির্ভর হতে শুরু করেছে। তা পুরো বদলে গেলে ফল মারাত্মক হবে বলে সাবধান করেন রুদ্রনীল। তাঁর মতে, “এই বিষয়গুলি ভাবা উচিত। কয়েকটি রাজ্যে জীবনযাপন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। নিষিদ্ধ কিছু করতেই হলে সবার আগে মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ করা উচিত মাননীয় আদালতের। সেটা তো হচ্ছে না! যদি ওই ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু ঠিক হয়, তাহলে এখানে নয় কেন?” এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত বলে মনে করেন অভিনেতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঠিক যেন কলেজের প্রথম ‘প্রেম টেম’! মন ভরাল বাংলাদেশি গায়কের ‘তাকে অল্প কাছে ডাকছি’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ