Advertisement
Advertisement
অক্ষয় কুমার

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল, পাশে দাঁড়ালেন অক্ষয় কুমার

সংবাদপত্রে খবর পড়ে হলের মালিককে নিজে ফোন করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি অক্ষয়ের।

Akshay Kumar offers financial aid to Mumbai’s iconic theaters
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 21, 2020 3:12 pm
  • Updated:April 22, 2020 6:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে সিনেমা হলে তালা। থমথমে স্টুডিওগুলি। এই লকডাউনের জেরে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো যে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিও বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা কার্যত এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। দিন আনি দিন খাই মানুষগুলির সঙ্গে বেজায় সংকটের মুখে পড়েছেন সিনেমাওয়ালারাও। হল-মাল্টিপ্লেক্স সব বন্ধ। রোজগার নেই। তবে এই পরিস্থিতিতেও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যেমন জোগাতে হচ্ছে, তেমনই সিনেমা হলের কর্মীদেরও পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে হল মালিকদের। এই পরিস্থিতিতে হল মালিকদের নিজেদের ভান্ডারে যে বেশ টান পড়েছে, তা বলাই যায়। কদিন আর এরকমভাবে চলবে? সেই প্রশ্নের মুখেই পড়েছেন সিনেমা হল কর্তৃপক্ষগুলি। মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল গাইতি-গ্যালাক্সিও সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কর্মীদের মাস-মাইনে দিতে রীতিমতো ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে তাঁদের। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতরণ অক্ষয় কুমারের।

দিন কয়েক আগেই এক সংবাদপত্রে মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল গাইতি-গ্যালাক্সির একটি খবর পড়েছিলেন অক্ষয়। সেখানে সংশ্লিষ্ট হলের মালিক মনোজ দেশাই জানিয়েছিলেন যে কর্মীদের পারিশ্রমিক দিতে তাঁকে ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে। কারণ, গত মাস থেকেই বন্ধের জেরে লোকসানে হল কর্তৃপক্ষ। এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মানবিকতার খাতিরেই কোনও কর্মী ছাঁটাই করেননি তাঁরা। পারিশ্রমিকেও কাটছাঁট করা হয়নি। আর সেই খবর চোখে পড়া মাত্রই অক্ষয় নিজে গাইতি-গ্যালাক্সির মালিক মনোজ দেশাইকে ফোন করেন। জানান, এই চরম পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে প্রবল সংকটে ব্লাড ব্যাংকগুলি, ‘ঘরে থেকেই রক্তদান’ প্রকল্প চালু করলেন সিধু]

“দিন তিনেক আগে অক্ষয়ের কাছ থেকে একটি ফোন পাই। এই সমস্যার চলতে থাকলে তিনি আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন আমাদের। ওঁর মানবিকতায় আমি মুগ্ধ। কিন্তু লকডাউনে এই বিশাল ক্ষতি থেকে বেরনোর উপায় আমাদের নিজেদেরও বের করতে হবে। এই মাসে পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো টাকা জোগাড় হয়েছে, জানি না আগামী মাসে কিংবা অদূর ভবিষ্যতে কীভাবে টাকা জোগাড় হবে! কারণ, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মানবিকতার খাতিরে আমরা কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করছি না, এবং পারিশ্রমিকেও কাটছাঁট করছি না”, মন্তব্য মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলটির মালিক মনোজ দেশাইয়ের।  

Advertisement

উল্লেখ্য, করোনা রুখতে এর আগে মোদির ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন অক্ষয়। বৃহন্মুম্বইয়ের কর্মীদের জন্যও ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় একাধিক সাহায্যের পর এবার মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলের পাশে অক্ষয় কুমার। তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন যতই উঠুক, মনেপ্রাণে দেশের নাগরিকদের দুর্দিনে তিনি যে সবসময়ে পাশে থেকেছেন, তা আবারও দেখিয়ে দিলেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার।  

[আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে প্রতিরক্ষা খাতে এত বেশি ব্যয় কেন?’, মোদিকে খোলা চিঠি কমল হাসানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ