সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতের থেকেও প্রতিরক্ষার খাতে বেশি করে খরচ কেন? প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন কমল হাসান। করোনা পরবর্তী ভারত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে, সেই উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন দক্ষিণী সুপারস্টার তথা মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের প্রতিষ্ঠাতা কমল হাসান।
করোনা পরিস্থিতি কাটলে অদূর ভবিষ্যতেই গোটা দেশ প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হবে। প্রথমত, দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে। শ্রমিকরা শহরে কাজ হারিয়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে যাবে। অর্থনীতি ধুঁকবে। সেসব সমস্যা থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা উচিত, সেই নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন কমল হাসান। সেই খোলা চিঠিতে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, এই করোনা পরিস্থিতি আমাদের দেশের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ফাঁকগুলো।
করোনা পরবর্তী ভারতে, দেশের প্রতিরক্ষা খাতের চেয়েও স্বাস্থ্যখাতে বেশি ব্যয় করা উচিত বলে মনে করেন কমল হাসান। ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে কেন আমেরিকার থেকেও বেশি বাজেট বরাদ্দ, সেই প্রসঙ্গও তিনি উত্থাপন করেছেন চিঠিতে। তাঁর মতে, অবিলম্বে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করা উচিত। প্রতিরক্ষার চেয়েও এখন স্বাস্থ্যখাতে ব্যায় করা অনেক বেশি জরুরী।
এরপরই মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের সুপ্রিমো দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থান না থাকায় কিংবা কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হতে থাকায় ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যেতে চাইছে। ঠিক এখানেই কৃষিক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মত কমলের। তাঁর কথায়, “ভারত যেহেতু কৃষিপ্রধান দেশ, তাই অর্থনৈতিক কাঠামোকে ফের দাঁড় করাতে গেলে নতুন প্রজন্মকে কৃষিক্ষেত্রে আকৃষ্ট করা দরকার। আর সেটা সম্ভব তখনই, যখন কৃষিভিত্তিক অতিক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ প্রদান করা দরকার।”
মারণ এই ভাইরাসকে রুখতে গিয়ে পরিযআয়ী শ্রমিকরা প্রায় ভবঘুরে হয়ে পড়েছে। সেই ইস্যু নিয়েও মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে কমল হাসান চিঠিতে লিখেছেন যে, ভারতের মতো দেশে শ্রেণিবৈষম্য সরিয়ে রেখে সবার প্রথমে দারিদ্র দূর করা দরকার। সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলির ক্ষমতায়নের কথাও মোদিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণী অভিনেতা তথা রাজনীতিক কমল হাসান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.