সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বোলে তো’ ১১টা বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু বলিউডে আজও ভাই মানেই মুন্নাভাই। আর তাঁর ছায়াসঙ্গী সার্কিট। দু’জনের কাণ্ডকারখানা এখনও বোকাবাক্সের পর্দায় ফুটে উঠলে মুগ্ধ হয়ে দেখেন জনতা। মুন্নাভাই কেমন এমবিবিএস সেকথা এখন প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু অনুষ্কা শর্মা যে তাঁর গান্ধীগিরিতে শামিল ছিলেন সে কথা জানা আছে কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিচের ছবিটি দেখুন।
এতক্ষণে বিশ্বাস হল তো! হ্যাঁ এভাবেই বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তের সঙ্গী হয়েছিলেন অনুষ্কা শর্মা। তখন যে মুখ ছিল অপরিচিত আজ তাই বলিউডের বিউটি উইথ ব্রেনের আদর্শ উদাহরণ। তিন খানের সঙ্গেই স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করে ফেলেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন। আবার ব্যক্তিগত জীবনে বিরাট কোহলির সঙ্গে বেশ সুখেই রয়েছেন। তবে অতীতে তাঁকে ‘লগে রহো মুন্নাভাই’-তে দেখা গিয়েছিল তা এক দশক পর প্রকাশ্যে এল।
[ব্যাড নয় এবার ‘গুড মহারাজা’ সঞ্জয় দত্ত, প্রকাশ্যে প্রথম ঝলক]
প্রকাশ্যে এসেছে এমনই অনেক অজানা তথ্য। যেমন মুন্নভাইয়ের এই দ্বিতীয় সংস্করণে ক্যামিও করার কথা ছিল আমির খানের। কিন্তু চিত্রনাট্যের খাতিরে সেই অংশটুকু বাদই দিয়ে দেওয়া হয় ছবি থেকে। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ আর ‘লগে রহো মুন্নাভাই’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৬ সালে। ততদিনে আরশাদ ওয়ারসি সার্কিটের চরিত্রের আদব-কায়দা সবই ভুলে গিয়েছিলেন। আবার নতুন করে সব রপ্ত করতে হয়েছিল তাঁকে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ছবির মুন্নাভাই এমএমজি- মিটস মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু পরে তা কোনও কারণে পরিবর্তন হয়ে যায়। ছবিতে গান্ধীজির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ প্রভাওয়াকার। মেকআপ নিয়ে সেটে আসার পর সঞ্জয় দত্ত তাঁকে চিনতেই পারেননি। এতকিছুর পরও এ ছবি আজও দর্শকদের মনে রয়ে গিয়েছে। আর এখনও বলিউডের ‘ভূমি’তে মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তই।
[ফেসবুকে গান চুরির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানহানির নোটিস রূপমের]