সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমাকে বাঁচান, নাহলে কিন্তু জীবন শেষ করে দেব!”, মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ অভিনেত্রী রানি চট্টোপাধ্যায়। যিনি কিনা ভোজপুরী সিনেমার খ্যাতনামা নায়িকা। শুধু তাই নয়, অতীতে ‘খতরো কে খিলাড়ি’ রিয়ালিটি শোর প্রতিযোগীও ছিলেন। তা কী এমন হল যে অভিনেত্রী শেষমেশ মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাঁকে বাঁচানোর জন্য? প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি নজরে এসেছে। আর তার মাঝেই অভিনেত্রীর এমন মন্তব্য ভাবিয়ে তুলেছে অনেককেই।
সম্প্রতি রানি জানিয়েছেন, ধনঞ্জয় সিং নামে এক ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরে তাঁকে বিরক্ত করে যাচ্ছেন। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যক্তির উপদ্রব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ফলস্বরূপ ব্যক্তিগত জীবনেও তাঁকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে রানি চট্টোপাধ্যায় মুম্বই পুলিশের সাইবার সেলের কাছেও সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার আধিকারিকরা অভিনেত্রীর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ধনঞ্জয় যেসব পোস্ট করেছেন, তার কোনওটাতেই রানির নাম নেই!” তবে এদিকে রানি চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “ধনঞ্জয় নামের ওই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর চেহারা নিয়ে কটূক্তি করেন, তাঁকে বয়স্ক প্রমাণ করার চেষ্টা করেন এবং জনসমক্ষে তাঁকে গালিগালাজও করে অনবরত মানহানির চেষ্টা করে চলেছেন। এবং অভিনেত্রীর ছবিও শেয়ার করেছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘বুলবুল’ ছবিতে ‘কলঙ্কিনী রাধা’ গানে হিন্দুধর্মের অপমান! Netflix বয়কটের ডাক হিন্দুত্ববাদীদের]
এই বিষয়ে বন্ধুবান্ধব-সহকর্মীরা রানিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিলেও অভিনেত্রীর পক্ষে তা সম্ভব হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর এভাবে চললে অদূর ভবিষ্যতে তাঁকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রানির মন্তব্য, “আমি মুম্বই পুলিশকে অনুরোধ করব, আমি যদি আত্মহত্যার পথ বেছে নিই, তাহলে যেন আমার মৃত্যুর জন্যে ধনঞ্জয়কেই দায়ী ধরা হয়। আমার বেঁচে থাকার আর কোনও শক্তি নেই। আমার কাছে আত্মহত্যাই একমাত্র রাস্তা, এতবছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়াই চালানোর পর, আমি আর সহ্য করতে পারছি না।”