সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাহসী, বোল্ড শব্দগুলি আজ যেন অনেকটাই ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। বিভাজিকার অনন্ত আহ্বানে সাজানো পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রচ্ছদে সাহসেরও যেন অবনমন হয়েছে। খোলামেলা হওয়ার হিড়িকে বোল্ডনেস বেশ খানিকটা জোলো হয়ে গিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে মালয়ালম পাক্ষিক ‘গৃহলক্ষ্মী’র একটি প্রচ্ছদ। বিষয় স্তন্যদান। প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, এক মা স্তন্যদান করছেন তাঁর শিশুকে। গৃহবধূর বেশ, কপালে সিঁদুর, উণ্মুক্ত স্তন। কোথাও কোনও জড়তা নেই। চোখে কোনও আক্ষেপও নেই। যদিও ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর নামে কেরলের এক আইনজীবী অশালীনতার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। কিন্তু কে এই নায়িকা?
[ ট্যাবু ভেঙে প্রকাশ্যে স্তন্যদানের বার্তা, ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের প্রশংসায় নেটিজেনরা ]
এ প্রচ্ছদ নিয়ে এ মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা। সে সবের আঁচ থেকে চাইলেই নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারতেন। পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে নিজের কাজ করেছেন। কিন্তু নিজেকে গোপন করার কোনও বাসনা নেই জিলু জোসেফের। হ্যাঁ, তাঁকেই দেখা গিয়েছে প্রচ্ছদে। এককালে এয়ার হোস্টেস বা বিমানসেবিকার কাজ করেছেন। পরে এসেছেন অভিনয় জগতে। পাশাপাশি কবিতাও লেখেন। তবে যে কাজই করুন না কেন, করেন তাঁর বিশ্বাস থেকে। সেই জায়গাতেই পত্রিকার স্তন্যদান বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রকাশ্যে স্তন উন্মুক্ত করা নিয়েও তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সাফ কথা যে, মায়েদের প্রকাশ্যে স্তন্যদানের অধিকার থাকা উচিত এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি। সেখানে কোনও লোকলজ্জার ভয় থাকুক তা কোনওভাবেই কাম্য নয়। সেই বিশ্বাস থেকেই এ কাজ করেছেন তিনি। এবং তার জন্য যে সমালোচনাই হোক না কেন, সেসব তাঁকে প্রভাবিত করছে না। কারণ তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই।
[ বীর্যের পর এবার প্রস্রাবে ভরা বেলুন ছোড়া হল ছাত্রীদের লক্ষ্য করে ]
কর্মস্থলে বা প্রকাশ্য জায়গায় স্তন্যদান সত্যিই মায়েদের কাছে একটি সমস্যার বিষয়। দিনকয়েক আগে এক সমীক্ষায় প্রকাশ হয়েছিল, অধিকাংশ বিবাহিত মহিলারা চাকরি ছাড়ছেন এই একটা কারণেই। ঝাঁ চকচকে কর্মস্থলেও প্রকাশ্যে স্তন্যদানের কোনও ব্যবস্থা নেই। একই অবস্থা স্টেশন বা এয়ারপোর্টের মতো জায়গাগুলোতেও। বাধ্য হয়ে যদি মায়েদের এ কাজ করতে হয়, তবে তাঁরা কাপড় বা চাদরে নিজেদেরকে ঢেকে রাখেন। কোনওভাবেই স্তন যাতে প্রকাশ্যে না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। কিন্তু তাঁরা তো কোনও গর্হিত কাজ করছেন না। তাহলে এত লুকোছাপা কেন? এই ট্যাবু ভাঙারই ডাক পত্রিকায়। তাতে বিশ্বাস করেন এই অভিনেত্রী। তাঁর মতে, পোশাক নয় আসলে লোকলজ্জা আর ভয়ের ঘোমটায় নিজেদের চাপা দেন মহিলারা। তার তো কোনও প্রয়োজন নেই।
[ ‘বেলুনে বীর্য থাক বা না থাক, হোলি কি মহিলাদের হেনস্তার লাইসেন্স দেয়?’ ]
ইতিমধ্যেই কেরলের এক আইনজীবী অভিনেত্রীর নামে অশালীনতার অভিযোগ এনেছেন। ভারতীয় নারীকে ভুলভাবে চিত্রিত করা হয়েছে বলে তাঁক দাবি। নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর কপালে সিঁদুর থেকে উন্মুক্ত স্তন নিয়ে খোঁচা চলছে অবিরত। বলা হচ্ছে, পাবলিসিটির জন্য এ কাজ করেছেন অভিনেত্রী। ২৭ বছরের অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, কদিন আগেও মানুষ তাঁকে কবি বলতেন। এখন বেশ্যা বলছেন। তিনি যা করেছেন তা তাঁর বিশ্বাস তো বটেই, উপরন্তু এটি পত্রিকার ক্যাম্পেনও বটে। তাহলে এখানে পাবলিসিটির কী হল? পালটা প্রশ্ন তাঁর। তবে পাশাপাশি ট্যাবু ভাঙার ডাকে শামিল হয়ে প্রশংসাও কুড়োচ্ছেন অভিনেত্রী।