Advertisement
Advertisement

Breaking News

অজয় চক্রবর্তী

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে নিয়ে তথ্যচিত্র, ফ্রেমবন্দি দীর্ঘ ছয় দশকের সংগীত জীবন

তথ্যচিত্রের নাম 'অজয়- অ্যাসেটিক জার্নি অফ আ যোগী'।

Documentary filmed on Indian classical singer Pandit Ajay Chakraborty
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 14, 2019 8:31 pm
  • Updated:April 14, 2019 8:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত জগতে যেই নাম এক প্রতিষ্ঠানসম। কিংবা প্রতিষ্ঠান বললেও ভুল হবে না এখনও একনিষ্ঠভাবে নিরলস প্রচেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রজন্ম গঠনের কাজ। দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর প্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনে পা রাখলেই সেই আবহের উপলব্ধি হয়। শ্রোতা দরবারে অজয় চক্রবর্তী বরাবরই সমাদৃত, একইরকমভাবে। তাঁর সৃজনশৈলীতে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব সংগীত দরবার। সেই মানুষটির জীবনকাহিনি এবার রূপোলি পর্দায়। তবে ফিচার ফিল্ম নয়, তথ্যচিত্র। পরিচালক গৌতম হালদারের ফ্রেমে। ছবির নাম ‘অজয়- অ্যাসেটিক জার্নি অফ আ যোগী’।

 [আরও পড়ুন:  ‘কণ্ঠ’ হারিয়েছেন বাচিক শিল্পী, জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন?]

Advertisement

সংগীত জীবনে প্রায় ৬০টি বসন্ত পার করে এসেছেন অজয় চক্রবর্তী। তাঁর এই দীর্ঘ সংগীত জীবনের যাত্রাপথকেই কোলাজে বেঁধেছেন পরিচালক গৌতম। রবিবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল এই তথ্যচিত্রেরই প্রদর্শনী হয়ে গেল নন্দনে শ্রুতিনন্দন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন খোদ অজয় চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ-সহ আরও অনেকে। অজয় চক্রবর্তী তাঁর সংগীত জীবনে পণ্ডিত রবিশংকর, এপিজে আবদুল কালাম, পণ্ডিত আলি আকবর খান এবং শিব কুমার শর্মা-সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেই কাজ করেছেন। আর সেই সুবাদে বেশকিছু মূল্যবান মুহূর্তের সঞ্চার হয়েছে তাঁর জীবনে। সেই টুকরো টুকরো মুহূর্তগুলোকেই গৌতম হালদার তাঁর তথ্যচিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

Advertisement

এদিন তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর সময় অজয় চক্রবর্তী বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েছিলাম দেখতে দেখতে। মনে হল সেই পুরনো দিনগুলিতে ফিরে গিয়েছি। সংগীতপ্রেমী এবং অনুরাগীদের কাছ থেকে যে ভালবাসা, সম্মান আমি এতদিন ধরে পয়ে এসেছি, তার জন্য আমি অভিভূত। যা কিছু শিখেছি জীবনে তা আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান। গৌতম হালদার এবং তাঁর পুরো টিমের এই তথ্যচিত্র তৈরির প্রয়াসে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত। সঙ্গে আবেগতাড়িতও বটে।”

 [আরও পড়ুন:  সাহানার কণ্ঠে ‘সবাই চুপ’ মনে ধরেছে শিবু-পাওলির]

প্রসঙ্গত এর আগে তিনি বলেছিলেন, “বাবা মায়ের কাছে দু’বছর বয়সে গানের তালিম নেওয়া শুরু আমার। এখন আমার বয়স ছেষট্টির ঊর্ধ্বে। সারা জীবন শিখেছি। এখনও শিখছি আমি। সংগীত সমুদ্রের অতল মাপার চেষ্টা করছি। আমার গুরু পদ্মভূষণ পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ রাগ সংগীতের প্রতি ক্রমাগত অমুপ্রেরণা জুগিয়েছেন আমাকে। তবলা শিখিয়েছেন। গুরুত্ব বুঝিয়েছেন সংগীতের অন্যান্য ধারার। গৌতম আরও অনেক বিষয় নিয়েই এর আগে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। এগুলোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ