সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী। কোথায় শাশুড়ির আদরে কবজি ডুবিয়ে রসাস্বাদন করবেন, তা নয়! দু’জন আটকে রয়েছেন দুই দেশে। নতুন জামাই ‘মুখুজ্জ্যেবাবু’ এদিকে কলকাতায় আটকে লকডাউনের জেরে। করোনাই যত কাল। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী ব্যস্ততার জন্য রিসেপশনও দেরি করে হয়েছিল, এবার করোনার জন্য বাতিল হল প্রথম জামাইষষ্ঠী উদযাপনও। মেয়ে আইরাকে নিয়ে মিথিলা আপাতত ওপার বাংলাতেই রয়েছেন। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় আটকে কলকাতায়। দিন কয়েক আগের কথা। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিনও সৃজিতকে ছাড়াই কাটাতে হয়েছে মিথিলার। পদ্মাপারে এখন অপেক্ষা শুধু লকডাউন ওঠার। সৃজিত ঢাকায় গেলেই চোদ্দো পদে জামাই আদর সারবেন শাশুড়ি অর্থাৎ মিথিলার মা।
ওদিকে নববিবাহিত টেলি তারকাদম্পতিদেরও আক্ষেপের শেষ নেই! লকডাউন, আমফান সব প্ল্যান একেবারে ভেস্তে দিয়েছে। করোনা যদিও বা কাল, উপরন্তু আমফানটা দোসর হিসেবে কাজ করেছে। কোনও টেলি অভিনেত্রীর বাড়ির সামনে গাছ পড়েছে তো কেউ বা আবার এই কঠিন সময়ে জামাইষষ্ঠী পালনের পক্ষপাতী নন। তবে দু-একজন আবার সামান্য আয়োজন হলেও জামাইষষ্ঠীর নিয়ম পালন করছেন।

প্রিয়ম-শুভজিতের কথাই ধরা যাক। মাস খানেক আগেই বিয়ে সেরেছেন। নব তারকাদম্পতি অতি অল্প আয়োজনেই জামাইষষ্ঠী উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন এক সংবাদমাধ্যামের কাছে। ওদিকে জানুয়ারি মাসেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দোলন রায় এবং অভিনেতা দীপঙ্কর দে। বিয়ের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীপঙ্কর, তাই দোলন বেশ কড়া নিয়মে শুশ্রুষার মধ্যে রেখেছেন তাঁকে। খাওয়া-দাওয়াও নিয়মমাফিক। অতঃপর লকডাউন না থাকলেও দীপঙ্কর যে জামাইষষ্ঠীতে একেবারে কবজি ডুবিয়ে রসাস্বাদন করার অনুমতি পেতেন দোলনের কাছ থেকে এমনটাও নয়।
[আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য মন ব্যাকুল মিস ইংল্যান্ডের, ত্রাণ জোগাড় করছেন বঙ্গতনয়া]

৩০ নভেম্বর দীর্ঘ দিনের বন্ধু সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। যাঁদের বিয়েতে একেবারে চাঁদের হাট বসেছিল। লকডাউনে তাঁদের জামাইষষ্ঠী উদযাপনও একেবারে নীরবেই গেল।

নব বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী মল্লিকা মজুমদারের কথাও উল্লেখ্য। যিনি ফেব্রুয়ারি মাসেই ‘ফিরকি’ ধারাবাহিকের পরিচালক সৌমেন হালদারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। তিনি অবশ্য শ্বশুরবাড়িতেই জামাইষষ্ঠী পালন করছেন। খানিক অভিনবভাবে। স্বামী সৌমেনের উপর কড়া নির্দেশ জারি হয়েছে তাঁর মা অর্থাৎ মল্লিকার শাশুড়ির জন্য রান্না করার। যুগের পর যুগ ধরে জামাই বরণই হয়ে গেল শ্বশুরবাড়িতে, সেই প্রেক্ষিতে মল্লিকার এই উদ্যোগ যে নিঃসন্দেহে নজির গড়ার মতো, তা বলাই যায়।
[আরও পড়ুন: ‘অনুষ্কাকে ডিভোর্স দিক বিরাট কোহলি’, ‘পাতাল লোক’ বিতর্কে কটাক্ষ বিজেপি নেতার]
