Advertisement
Advertisement
Bhanu Bandopadhyay

শতবর্ষের আলোকে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন তারকাদের

'প্রিয় ভানুদা'র স্মৃতি আওড়ালেন অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও।

Hundred years of legendary comedian actor Bhanu Bandopadhyay
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 26, 2020 4:30 pm
  • Updated:September 1, 2020 5:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাসিমা মালপো খামু…’ এই একটি সংলাপ বাঙালির হৃদয়ে চিরন্তনভাবে থেকে যাবে। ছোটখাট চেহারার এক ব্যক্তি, সহজ-সরল, ছাপোষা আদ্যোন্ত বাঙালিয়ানায় ভরপুর… এক্সপ্রেশনেই পর্দায় বাজিমাত করতেন! তিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (Bhanu Bandopadhyay, )। কৌতূকরসের সিনেমার সঙ্গে বাঙালি সিনেদর্শকদের পরিচয় ঘটেছিল যাঁর হাত ধরে। যেমন দক্ষ কমেডিয়ান, তেমনই বাজিমাত করতেন কোনও সিরিয়াস চরিত্রে। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘ভানু পেলো লটারী’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্টেন্ট’, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় নামটা শুনেই এধরনের বহু ক্লাসিক বাংলা সিনেমার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজ সেই অভিনেতা শতবর্ষে পা রাখলেন। মৃত্যুর পর আজও তিনি যে বাঙালি দর্শকদের মনে সমুজ্জ্বল, তা বোধহয় উপরোক্ত সিনেমাগুলি নিয়ে তাঁদের আবেগ, উন্মাদনা দেখলেই বোঝা যায়।

১৯২০ সালের ২৬ শে অগাস্ট, ঠিক এই দিনই জন্মগ্রহণ করেন সাম‍্যময় বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ওরফে ভানু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। নিঃসন্দেহে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের অন‍্যতম সেরা অভিনেতা। আর আজ শতবর্ষের আলোকে সেই মানুষটিকেই নিজেদের মতো শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন টলিউড তারাকারা।

Advertisement

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) কথায়, “আমার মতে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র একজন অসাধারণ কমেডিয়ান ছিলেন না, অভিনয়ের নিরিখে যে কোনও চরিত্রেই তিনি ছিলেন সমান সাবলীল। হাস্যরসের সারবস্তুটিকে সঠিকভাবে সেলুলয়েডের পর্দায় তুলে ধরায় ওঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। আজ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন শিল্পীর জন্মশতবার্ষিকীতে আমি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানালাম।” অভিনেতার মন্তব্য, “ভানু জেঠু আমার কাছে একজন কমেডিয়ানের থেকেও অনেক বেশি।”

Advertisement

bhanu

[আরও পড়ুন: একগাল কাঁচা-পাকা দাড়ি, ভয়াল দৃষ্টি! দেখুন তো চিনতে পারছেন কিনা এই অভিনেতাকে?]

প্রবীণ অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee) স্মরণ করলেন তাঁর কেরিয়ারের গোড়ার দিকের কথা। “একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ভানুদার সঙ্গে দেখা। রাস্তার মাঝেই আমায় দাঁড় করালেন। জিজ্ঞেস করলেন, আমি ওঁর থিয়েটার গ্রুপে অভিনয় করতে চাই কিনা? আমি বললাম, আমার বাবার সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে হবে। আর উনি করলেনও তাই। ব্যস, ওঁর হাত ধরে ওই আমার অভিনয় জীবনের শুরু”, বলছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।

শতবর্ষের আলোকে প্রিয় ভানুদার কথা মনে করে স্মৃতি আওড়ালেন অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীও (Lily Chakraborty)। শোনালেন ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধান’ ছবির আউটডোর শুটিংয়ের গল্প। সেবার হরিদ্বার যাওয়া হয়েছিল গোটা ইউনিট নিয়ে। ট্রেনের একটা গোটা কামরা বুক শুটিং টিমের জন্য। বললেন, “ভানুদাও ছিলেন সেই আউটডোরে। উনি একটু মদ্যাপান করতে ভালবাসতেন। বৌদি ছিলেন না সেই ট্যুরে। তবে আমাদের সবাইকে বলে দিয়েছিলেন যাতে, আমরা দেখে রাখি। ওঁর ব্যাগে বোতল ছিল। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় সেই বোতল ঠাট্টা করে সরিয়ে রেখেছিলেন। এবার রাতে খাওয়ার সময় ভানুদা সেটা খুঁজে পাননি। ব্যস! অমনি বেজায় চটে গেলেন। বলতে শুরু করলেন, ‘আমাগো উপর গার্জেনগিরি করতাসে!’ রেগে গিয়ে ভানুদা যে কোথায় চলে গেলেন, সে তো আমরা আর খুঁজে পাই না। একটা করে স্টেশন আসলে, ‘ভানুদা-ভানুদা’ বলে সকলে চিৎকার! তারপর জানা গেল, উনি অভিমান করে অন্য এক কামরায় গিয়ে বসে রয়েছেন। তারপর শুভেন্দুদা ওঁকে ডেকে আনলেন।”

উল্লেখ্য, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শতবর্ষ জন্মদিন উপলক্ষে ‘ভানু একাই একশো’ শীর্ষক এক তথ্যচিত্র রিলিজ করল জাস্ট স্টুডিও। 

[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ঋতাভরী, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট মা শতরূপার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ