সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পয়লা মার্চ মুক্তি পেল ‘রক্তরহস্য’র নয়া পোস্টার। সেই পোস্টারেই রণং দেহী রূপে ধরা দিলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। তবে, রণং দেহী মূর্তির সঙ্গে কিন্তু খানিক উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের অভিব্যক্তিও ধরা দিল পোস্টারে কোয়েলের চেহারায়। এর আগে অবশ্য এক সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে কোয়েলের লুক প্রকাশ্যে এসেছিল।
আগামী ১০ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের ‘রক্তরহস্য’। ছবির নামেই থ্রিলারের ইঙ্গিত রয়েছে। রক্ত নিয়েই যে এই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। দিন কয়েক আগেই অবশ্য প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মসের উদ্যোগে এক অভিনব সমীক্ষা চালানো হয়েছিল শহরজুড়ে। ‘রক্তের সম্পর্ক বলতে আদতে কী বোঝায়?’ এই ছিল সমীক্ষার বিষয় বস্তু। ‘রক্তের সম্পর্ক’ বলতে সাধারণত আমরা পরিবারের লোকজনকেই বুঝি। মা, বাবা, ভাই, বোন ছাড়াও পরিবারের সব সদস্যরা রয়েছেন এই তালিকায়। কিন্তু যাকে বা যাদের আমরা রক্তদান করি, তারা? তাঁদের শরীরেও তো আমাদের রক্ত বইছে। রক্ত দেওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক স্থাপন হতে পারে না? সত্যিই তো এমন ভাবনা তো সাধারণত কখনোই মাথায় আসে না। তবে সেই ভাবনার চাগাড় দিল সুরিন্দর ফিল্মসের অভিনব উদ্যোগে।
আমরা রক্ত দেওয়ার পর কিংবা নেওয়ার পর কখনও খোঁজা নিই না, সেই ব্যক্তি কে কিংবা কোন ধর্মের! এখানেই কিন্তু একটা বড় এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের সবারই রক্তের রং লাল। জরুরীকালীন অবস্থায় আমরা দেখি না কোন ধর্ম বা জাতির রক্ত আমরা নিচ্ছি, তখন প্রাণ বাঁচানোটাই আমাদের কাছে মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তাই, জাতি-ধর্মের উর্দ্ধে গিয়ে মনুষ্যত্বকে যে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন, সেই বার্তাই হয়তো রক্তরহস্যের এই অভিনব প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছিল। যে বার্তা দেওয়া আজেকের প্রেক্ষাপটে খুবই প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: রহস্যের মোড়কে মিমি-পরমব্রতর ‘খেলা যখন’, এপ্রিলেই শুরু শুটিং ]
‘রক্তরহস্য’ আদতে এক ইমোশনাল মেয়ের জার্নি। স্বর্ণজা নামে এক তরুণীর চরিত্রে দেখা যাবে কোয়েলকে। যে আদতে পেশাদার এক রেডিও জকি। হঠাৎই একদিন শোয়ের মাঝে এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। তারপর থেকে আচমকাই বদলে গেল স্বর্ণজার জীবন। সেখানেই ঘুরে যায় গল্পের মোড়। কীভাবে? স্বর্ণজার জীবনেই বা কী পরিবর্তন আসে? জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে এপ্রিলের ১০ তারিখ অবধি।