সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে নতুন গোয়েন্দা আসার খবর আগেই ফাঁস করেছিলেন প্রতীম ডি গুপ্ত। ফেলদুা-ব্যোমকেশ-শবর-কিরিটিদের তালিকায় ইনি নবতম সংযোজন। নাম শান্তিলাল ভট্টাচার্য। আর সাহিত্যেপ্রমী বাঙালিদের বোধহয় বোধোদয়ের আঁতুরঘর থেকেই গোয়েন্দা, রহস্য-প্রীতি রয়েছে। তাই তাঁর মগজাস্ত্রের জড়িপ নিতে কৌতুহলী মন স্বাভাবিকবশতই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তা এই নতুন গোয়েন্দাবাবু কেমন? অবশেষে সেই গোয়েন্দার সঙ্গে পরিচয় করালেন পরিচালক প্রতীম। প্রকাশ্যে এল গোয়েন্দা শান্তিলালের লুক।
[আরও পড়ুন: ‘শিবুদা ভীষণ কড়া শিক্ষক’, ‘গোত্র’ প্রসঙ্গে বললেন নাইজেল ]
পেশায় সাংবাদিক। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত ছাপোষা মানুষের মতোই আর কী! ব্যর্থ প্রেমিক। একঘেয়ে জীবনে বিরক্ত হয়ে যাওয়া সাংবাদিক। তবে, পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিক চাপে শ্যাওলা ধরে যাওয়া মগজে শাণ পড়ে তাঁর। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে শান্তিলাল। অতঃপর, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আরও সজাগ হয়ে ওঠে। যার জোরে যে কাউকে গোল দিতে পারেন অনায়াসে। শান্তিলালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। পেশার সূত্রেই তাঁর আলাপ এক জনপ্রিয় গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী নন্দিতার সঙ্গে। ঘটনাচক্রে সাংবাদিকতার সূত্রেই এক রহস্যোদঘাটনে নামেন তিনি। ছিলেন সাংবাদিক। হয়ে যান গোয়ন্দা। সাংবাদিকতার সঙ্গে তদন্ত শব্দটি অবশ্য বেশ সূক্ষভাবেই জড়িত। বিশেষ ক্ষেত্রে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই করতে হয় তাঁদের। আর প্রত্যেকটি সাংবাদিকের মধ্যেই গোয়েন্দাসুলভ একটা ব্যাপার থাকে বইকি! প্রতীমও সেই বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন হয়তো শান্তিলাল ভট্টাচার্যের মধ্য দিয়ে। যাক গে ফেরা যাক প্রসঙ্গে, নামজাদা অভিনেত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পাওলি দাম। রহস্যে ভরপুর লাস্যময়ী সেই অভিনেত্রী। যার প্রত্যেক ইশারা ইঙ্গিতে রয়েছে ধোঁয়াশা। ধরা দিয়েও তিনি অধরাই থেকে যান। ব্যস! লাস্যময়ী নন্দিতার রহস্যভেদে ময়দানে নামেন গোয়েন্দা শান্তিলাল। তদন্ত সূত্রে পৌঁছে যান চেন্নাই। তারপর সিঙ্গাপুর। একের পর এক রহস্যের জট খুলতে থাকে। তারপর?…. বাকি গল্পের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগস্ট অবধি। কারণ চলতি বছরের আগস্টেই মুক্তি পাচ্ছে ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’।
[আরও পড়ুন: রহস্য-রোমাঞ্চের মোড়কে তিন বন্ধুর গল্প, প্রকাশ্যে ‘সামসারা’র ট্রেলার ]
এই প্রথম মৌলিক গোয়েন্দা ফ্র্যাঞ্চাইজি উপহার দিতে চলেছেন প্রতীম। ‘মাছের ঝোল’-এর পর ফের জুটি বাঁধলেন ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’-এ ঋত্বিক ও পাওলি। গোয়েন্দা শান্তিলাল চরিত্রের স্রষ্টা পরিচালক প্রতীম খোদ। গল্প ফেঁদেছেন নিজে। চিত্রনাট্য বিন্যাসও তাঁর। চিরাচরিত গোয়েন্দা গল্পের থেকে এই ছবি একটু আলাদা। উল্লেখ্য, এই প্রথম গোয়ন্দা অবতারে অবতীর্ণ হচ্ছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। প্রতীমের সঙ্গে তাঁর চতুর্থতম কাজ ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’। ঋত্বিক-পাওলি ছাড়াও অভিনয় করেছেন গৌতম ঘোষ, চিত্রাঙ্গদা, অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মতো শিল্পীরা। সংগীতের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অর্ক। এই ছবির নাম আগে ‘ইংক’ ছিল। পরে পরিচালক পরিবর্তন করে আদ্যোপান্ত বাঙালি নাম রাখেন ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’।শান্তিলালের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েও প্রতীম বেশ আশাবাদী। কারণ, কপিরাইট কেনারও কোনও গল্প নেই। ইনভেস্টিগেটিভ থ্রিলারটি প্রতীমের একান্ত নিজস্ব গল্প।
দেখুন তো ছবিতে খুঁজে পান কি না কোথায় চললেন গোয়ন্দা শান্তিলাল?