Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেলের পথে সলমন! আদালতে গরহাজিরায় নাকচ হতে পারে জামিন

চিন্তায় একাধিক বলিউড পরিচালক।

Salman Khan faces heat in black buck poaching case
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 5, 2019 6:28 pm
  • Updated:July 5, 2019 6:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না সলমন খানের। ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি ছিল। আর তাতেই বিপাকে পড়েন বলিউড সুপারস্টার সলমন। নিয়মানুযায়ী আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় এবার তাঁর জামিন নাকচ হয়ে জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে যোধপুর আদালত। অতঃপর, যার জন্য আটকে যেতে পারে সলমনের একাধিক ছবির কাজ। এমতাবস্থায় সলমনের ভোগান্তির পাশাপাশি কপালে ভাঁজ পড়তে পারে একাধিক বলিউড পরিচালকের। কারণ, সামনেই ‘দাবাং ৩’ এবং ‘ইনশাআল্লাহ’-র শুটিং শুরু হচ্ছে।

[আরও পড়ুন:  টলিপাড়া নয়, শঙ্কুদেবকে মূলধারার রাজনীতিতেই চান মুকুল রায়]

Advertisement

গতবছরই ‘বিইং হিউম্যান’ সলমন খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল যোধপুর আদালত। সেসময়ে গোটা বলিউডই প্রিয় বজরঙ্গির এমন সাজা মেনে নিতে পারেনি। যদিও জামিন আবেদনের পর তাঁকে কারাভোগ করতে হয়নি সেভাবে। তবে, একাধিকবার মামলার শুনানিতে তাঁর গরহাজিরায় বেজায় চটেছেন বিচারক চন্দ্র কুমার সোঙ্গারা। আর তাই এবার তাঁকে সরাসরি সতর্ক করে দেওয়া হয় যে পরবর্তী শুনানির দিন সলমন সশরীরে উপস্থিত না থাকলে, তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। অতঃপর, কারাবাস করতে হতে পারে ভাইজানকে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ। প্রসঙ্গত, মামলার আগের শুনানির দিনই সলমনের উপস্থিতি না দেখে তাঁর প্রতিনিধিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল যোধপুর আদালতের তরফে। উপরন্তু, এও বলা হয়েছিল যে তাঁর জামিন সম্পর্কিত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনি যেন ৪ জুলাইয়ের শুনানির দিন উপস্থিত থাকেন আদালতে। তবে, এবারও তার অন্যথা হওয়ায় শেষবারের মতো তাঁকে সতর্ক করা হয়। এবং সেপ্টেম্বরের শুনানিতে তাঁর উপস্থিতি ‘অতি আবশ্যক’ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোন যাতনায় পাঁচ বছরের সম্পর্কে দাড়ি টানলেন স্বরা ভাস্কর?]

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে ছবির কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সলমন খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও সইফ আলি খান। ২০১৮ সালে এই মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন সলমন খান। বাকিদের বেকসুর খালাস করে নিম্ন আদালত। গত বছর ৫ এপ্রিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সলমনের শাস্তি হয়েছিল। সেসময় যোধপুর আদালত সলমনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। যদিও দু’রাতের বেশি জেলে কাটাতে হয়নি সলমনকে। কারণ, দু’দিনেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। তবে, রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি। অতএব সেই ভোগান্তিই এখন ভুগতে হচ্ছে সলমনকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ