Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজভবনের বিজয়া সম্মিলনীতে তারকারা, টলিপাড়ায় বিভাজনের ইঙ্গিত

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Tollywood divided over political affiliation sparking new speculation
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 6, 2019 11:17 am
  • Updated:November 6, 2019 2:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি স্পষ্টভাবেই দুই শিবিরে ভাগ হতে চলেছ টলিউড? বাংলা রুপোলি পর্দার দুনিয়ায় গুঞ্জন এমনই। টলিউডের মধ্যে নাকি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে ভাঙন। বিশেষ করে বিজয়া সম্মিলনীর পর আরও স্পষ্ট হচ্ছে শিল্পীদের অবস্থান। অনেকে বলছেন, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাচ্ছে পদ্ম শিবির আর ঘাসফুল, কোন শিল্পী কোন দিকে পাল্লা ভারী করছেন।

দিন গড়ালেও রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত এখনও থিতিয়ে যায়নি। এবছর দুই তরফেই একই দিনে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও এটা কতটা ইচ্ছাকৃত আর কতটা কাকতালীয়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে রাজভবনে গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ অনেকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণ কেন অগ্রাহ্য করলেন তাঁরা। উত্তরে প্রসেনজিৎ বলেছেন, আগ্রাহ্য নয়, আগে রাজ্যপালের থেকে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। তাই রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি। আর রুদ্রনীল ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁকে রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রণই করা হয়নি। একই সুর অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনিও জানান, রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রণ পাননি তিনিও। কিন্তু কিছুদিন আগে বিজেপি মদতপুষ্ট বঙ্গপ্রয়াসের সম্মানপ্রদান অনুষ্ঠানে খোদ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত থেকে পুরস্কার নেন রুদ্রনীল। ফলে অনেকেই অভিনেতাকে নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেছেন। যদিও রুদ্রনীলের বক্তব্য, কেউ যদি সম্মান প্রদান করতে চান তিনি তো আর ‘না’ করতে পারেন না!

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘কোমরে তলোয়ার রাখুন’, বিতর্কিত মন্তব্য অভিনেত্রী কাঞ্চনার ]

অন্যদিকে রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, অপরাজিতা আঢ্য, অরিন্দম শীলের মতো তারকারা উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে। যদিও এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক বিভাজন দেখছেন না কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা অরিন্দম শীলের মতো ব্যক্তিত্বরা। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, যেদিন বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল, সেদিন তাঁর ছবির প্রিমিয়ার ছিল। তাই তিনি যেতে পারেননি। অরিন্দম শীল জানিয়েছেন, এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর মধ্যে রাজনৈতির দ্বন্দ্ব খোঁজার কোনও মানে হয় না। তিনি তাঁর ছবি তৈরি নিয়ে বেশ আছেন। ‘রাজনীতির রক্ত’ হাতে মাখতে চান না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও আমন্ত্রণ আসেনি বলেও জানান তিনি। আর রাজ চক্রবর্তী বলেন, তিনি এখন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। রাজনীতি নিয়ে ভাবনার সময় তাঁর হাতে নেই।

Advertisement

এর পর থেকেই জল্পনা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। হাওয়ার গতিতে ছড়াচ্ছে, টলিপাড়ায় এবার তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথ স্পষ্ট। যদিও অভিনেতারা এনিয়ে একেবারে স্পিকটি নট। কেউই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। উলটে পিঠ বাঁচাতে তৎপর সবাই।

[ আরও পড়ুন: কঠোর কসরত, নাওয়া-খাওয়া ভুলে স্টেডিয়ামেই দিন কাটাচ্ছেন পরিণীতি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ