সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেকনিশিয়ান থেকে এনটি-১। দাসানি, ইন্দ্রপুরী থেকে ভারতলক্ষ্মী। বেলা বারোটা থেকে বারোটা পনেরো মিনিট পর্যন্ত সর্বত্রই বন্ধ রইল কাজ। নিভিয়ে দেওয়া হল স্টুডিওর আলো। এভাবেই সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘পদ্মাবতী’র পাশে দাঁড়াল টলিউড। কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানালেন ইন্দ্রাণী হালদার, বাদশা মৈত্ররা। জানালেন, শিল্পকে গলা টিপে মারা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এবার দাঁড়াতেই হবে। মানুষের মুক্ত চিন্তার উপর ফতোয়া জারি করার অধিকার কারও নেই। এর জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনে যেতে হলেও প্রস্তুত স্টুডিও পাড়া।
Drishtikone’s shooting suspended for 15 minutes in protest. We support freedom of Art.#Padmavati. @sudeepdop @SLBhansali_ @prosenjitbumba @RituparnaSpeaks @utterlyChurni @SurinderFilms pic.twitter.com/FVEnVGvnI2
— Kaushik Ganguly (@KGunedited) November 28, 2017
[রাজপুত রাজাদের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা, পরেশের মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
সোমবারই সাংবাদিকদের সামনে ‘পদ্মাবতী’র পাশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, শ্রীকান্ত মোহতা। সংবাদিক বৈঠকে বিক্ষোভকারীদের একহাত নেন তাঁরা। পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান, একটি ছবি নিয়ে যা হচ্ছে তা কোনওমতেই কাম্য নয়।এমন চলতে থাকলে তো সিনেমাই তৈরি করা যাবে না। সমালোচকদের একহাত নেন বুম্বাদাও। নায়ক নায়িকার বিরুদ্ধে যেভাবে কুরুচিকর আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেতা। সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ নিয়েও। ঘোষণা করা হয় ছবির জন্য মঙ্গলবার ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে। তাই এদিন পালন করলেন কলাকুশলীরা। প্রত্যেকে কালো ব্যাজ পরেও প্রতিবাদ জানান।
রবিবারই গোটা মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র জগত ১৫ মিনিটের ব্ল্যাকআউট পালন করেছিল। মায়ানগরীর কোথাও শুটিং হয়নি। মঙ্গলবার তাই করল টলিউড। শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন স্টুডিও পাড়ার শিল্পীরা। প্রয়োজনে তাঁরা যে আরও বড় আন্দোলনের পথে যেতে পারেন, দিয়ে রাখলেন সেই ইঙ্গিতও।
[পদ্মিনী মহলের ফলক ঢেকে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে, শুরু বিতর্ক]
এদিকে পদ্মাবতী যাতে বিদেশে মুক্তি না পায়, সেই আবেদন নিয়ে নতুন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনোহর লাল শর্মা নামে এক আইনজীবী। মঙ্গলবার সে আবেদন নামঞ্জুর করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিন এ বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, সিনেমাটি মুক্তি পাওয়া উচিত না উচিত নয় সেই সিদ্ধান্ত এখনও সিবিএফসি-র হাতে। তাঁর আগে ব্যক্তিগত স্তরে ছবি নিয়ে মন্তব্য কেন করা হচ্ছে? আদালত জানায়, যতদিন না এ ছবি নিয়ে সেন্সর বোর্ড কোনও মতামত দিচ্ছে ততদিন জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
[অন্য রাজ্য ছবি নিষিদ্ধ করলে বাংলায় আসুন, ‘পদ্মাবতী’কে স্বাগত মুখ্যমন্ত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.