Advertisement
Advertisement

Breaking News

Trinamool MP Dev

অভাবের সংসারে নেই পড়াশোনার টাকা, ২ আদিবাসী কন্যার পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ দেব

পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যাতেও পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি সাংসদের।

Trinamool Ghatal MP actor Dev extends help to two tribal girl
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 11, 2020 9:21 am
  • Updated:September 11, 2020 9:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মানবিকতার নজির গড়লেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। অভাবী দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্রীর যাতে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্য এগিয়ে এলেন তৃণমূল সাংসদ দেব (Dev)।

বাবা দিনমজুর, মা পরিচারিকা, নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ঘাটালের পান্না গ্রামের দুই বোন। সংসারের এই সঙ্গীন পরিস্থিতিকে সঙ্গী করেই কলেজে ভরতি হয়েছেন দুই আদিবাসী কন্যা। তবে ভবিষ্যতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার টাকাপয়সা ছিল না। উপরন্তু এই লকডাউনে যখন অনক্লাসেই কোচিং চলছে, তখন বেজায় অসুবিধের মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। ল্যাপটপ কিংবা কমপিউটার না থাকায় অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধে হচ্ছিল। প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সেই খবর সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের কানে পৌঁছতেই তিনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। তার অন্যথা হয়নি। উচ্চশিক্ষার জন্য ল্যাপটপ ও আর্থিক সাহায্য করে কথা রাখলেন সাংসদ তথা অভিনেতা।

Advertisement

সাংসদ দেবের হয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল দুই বোন রিনা ও বিনা নায়েকের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। ল্যাপটপ ছাড়াও এক বোনকে পড়াশোনার খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ল্যাপটপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত দুই বোন। এর আগেই জুন মাসে মহকুমা শাসক নিজের পারিশ্রমিক থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন এক বোনকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদই ভরসা, ফিট থাকতে নিয়মিত ‘গোমূত্র’ পান করেন অক্ষয় কুমার]

করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন সাংসদ দেবের প্রতিনিধিরা ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার এবং রান্না করা খাবার বিলি করেছিলেন। তখনই অভাবী আদিবাসী সংসারের ওই দুই বোনের কথা জানতে পারেন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারেন দেব। রিল লাইফে’র পর ‘রিয়েল লাইফে’ও যে আদতে তিনি ‘হিরো’ হয়ে উঠেছেন, আবারও সেই প্রমাণই দিলেন দেব। শুধু তাই নয়, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা হলে ভবিষ্যতেও পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাংসদ।

অন্যদিকে পান্না গ্রামের দুই ছাত্রীর পাশাপাশি পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাটের এক অসহায় ছাত্রীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন দেব। বাবা প্রতিবন্ধী, মা পরিচারিকা। কষ্টের সংসারে কলেজে ভরতি হওয়ার টাকা ছিল না। সেখবর সাংসদের কানে যেতেই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

পরিযায়ীদের ঘরে ফিরিয়ে আগেই মন জয় করেছেন সাংসদ দেব (Dev)। দুস্থদের সাহায্যেও বারবার পাশে থেকেছেন। দিন কয়েক আগেই বেলঘড়িয়ার এক বৃদ্ধ মাস্ক বিক্রেতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সাংসদের সাহায্যেই যাদবপুরের মুমূর্ষু করোনা রোগী হাসপাতালে ভরতি হতে পেরেছিলেন। এমনকী, সম্প্রতি টালিগঞ্জের এক করোনা আক্রান্ত পরিবারের আরজিতে নিত্যসামগ্রীও পৌঁছে দিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য প্লাজমার ব্যবস্থা করেছেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন সাংসদ দেব। এবার অভাবী সংসারের পড়ুয়াদের জন্য এগিয়ে এলেন। জনসাধারণের বিপদের দিনে সাংসদের এমন উদ্যোগে ধন্য ধন্য করছেন অনুরাগীরা।

[আরও পড়ুন:মাস্ক না পরেই ‘নেতাগিরি’ করতে চললেন! বিতর্কের মাঝে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার কঙ্গনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ