Advertisement
Advertisement

Breaking News

ম্যানারিজমে পারিবারিক আভিজাত্যকে ছাপিয়ে জাত অভিনেতা হয়েছিলেন শশী

এ শহর জানে শশীর প্রথম সবকিছু।

Unknown facts of veteran actor Shashi Kapoor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 4, 2017 2:18 pm
  • Updated:September 21, 2019 2:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কহে দু তুমে… ইয়া চুপ রহু…দিল মে মেরে আজ কেয়া হ্যাঁয়…’- ঘাড় পর্যন্ত ঢেউ খেলানো চুল আর গজ দাঁতের কেরামতিতে মোহিত হয়েছিল সাতের দশক। কাপুর পরিবারের আভিজাত্যকে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কেবল অভিনেতা। তার চেয়েও বেশি রক্তমাংসের সেই মানুষ, যিনি আজীবন ‘সিদ্ধার্থ’-এর মতো তপস্যা করে গিয়েছে অভিনয়ের খাতিরে। কিন্তু আদতে কেমন ছিলেন মানুষটা? কিছুদিন আগেই যিনি হাজার শরীর খারাপ নিয়েও দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করতে এসেছিলেন।

sashi-Kapoor_web

Advertisement

পৃথ্বীরাজ কাপুরের তৃতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। পর্দার নাম শশী কাপুর। তবে আসল নাম তাঁর বলবীর রাজ কাপুর। আর এই কলকাতাতেই জন্ম তাঁর।

Advertisement

বাড়িতেই ছিল কেবল অভিনয়, অভিনয় আর অভিনয়। তাই ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের জগতে প্রবেশ। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় আগমন। সংগ্রাম ছবিতে দাদা রাজ কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে বেশ নাম কামিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে ‘ধর্মপুত্র’ ছবিতে ফের তাঁর প্রত্যাবর্তন হয় নায়ক হিসেবে।

সিনেমার কেরিয়ার ‘শান্দার’ হলেও শশীর আসল ভালবাসা ছিল থিয়েটার। এই থিয়েটারের সূত্রেই তাঁর জেনিফার কেন্ডলের সঙ্গে আলাপ। নাটকই দুই অভিনেতাকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। শশী-জেনিফারের তিন সন্তান রয়েছে কুণাল কাপুর, করণ কাপুর, সঞ্জনা কাপুর।

এক সাক্ষাৎকারে কুণাল জানিয়েছিলেন, বাইরে বড় স্টার হলেও বাড়তে তাঁদের সেকথা জানতে দিতেন না শশী। ছোটবেলায় তাঁরা জানতেনই না যে বাবা এত বড় তারকা। রবিবার কোনও কাজ করতেন না শশী। বাড়িতে সাড়ে সাতটায় ব্রেকফাস্ট ছিল মাস্ট। সকলকে সেই সময় হাজির থাকতে হত।

[স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চ মাতালেন বলিউডের ব্যতিক্রমীরাই]

তাই বলে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল না শশীর। তাঁদের সঙ্গে দারুণভাবে মিশে যেতেন তিনি। পৃথ্বীরাজ কাপুরের সঙ্গে নাকি তাঁর সম্পর্ক খুব একটা সহজ ছিল না। তাই নিজের সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশার চেষ্টা করতেন।

article-201638216100558205000

নতুন করে গড়া হয়েছে মুম্বইয়ের রয়্যাল অপেরা হাউস। আর এর নেপথ্যে অবদান রয়েছে শশী কাপুর, রাজেশ খান্না, মমতাজের ‘প্রেম কাহানি’র। অপেরা হাউসটি পুরনো ধাঁচেই গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু কিছুতেই পুরনো অপেরা হাউসের চিত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন সময় ১৯৭৫ সালের ছবি ‘প্রেম কাহানি’ দৃশ্য থেকেই পুরনো অপেরা হাউসের দৃশ্য খুঁজে পান আর্কিটেক্টরা।

বাংলায় যেমন ফেলুদা মানেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তেমনই হিন্দিতে ফেলুদা মানে সন্দীপ রায়ের কাছে ছিলেন শশী কাপুর। তাঁকে নিয়েই গড়েছিলেন ‘কিসসা কাঠমান্ডু কা’। ১৯৮৬ সালে ডিডি ন্যাশনালে প্রদর্শিত হয়েছিল এই টেলিভিশন সিরিজ। সত্যজিৎ রায় শশীর অন্যতম পছন্দের পরিচালক।

[‘পদ্মাবতী’ ইস্যুতে দীপিকার পাশে দাঁড়াতে নারাজ কঙ্গনা!]

অভিনেতারা বিপদে পড়লেও সাহায্য করতে সকলের আগে এগিয়ে আসতেন শশী। শাবানা আজমি একবার জানিয়েছিলেন সে কথা। কোনও সিনেমার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে অর্থসংকটের মধ্যে পড়েন। শশী তাঁর পুরো খরচ বহন করেছিলেন।

ছবি পরিচালনাও করেছেন শশী। বেশ কড়া ধাতের পরিচালক ছিলেন তিনি। এ কথা স্বীকার করেছে স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। অজুবা ছবির শুটিং চলাকালীন নাকি পরিচালক শশী সেটে ছড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। ভুল হলেই নিস্তার ছিল না। তবে সেটে কারও অসুবিধা হলে সবার আগে তা মেটাতে ছুটতেন তিনিই।

অপর্ণা সেনের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। সিনেমার সূত্রেই দু’জনের আলাপ হয়। ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’-এর জন্য যখন হন্যে হয়ে প্রযোজক খুঁজছেন অপর্ণা, তখন ত্রাতা হন শশীই। চিত্রনাট্য পড়েই ছবি প্রযোজনা করতে রাজি হয়ে যান তিনি। ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁর স্ত্রী জেনিফারও।

36-CL

আটানব্বইয়ের পর সিনেমার জগতকে বিদায় জানান। কিন্তু অভিনয় প্যাশন শেষ দিন পর্যন্ত এতটুকু কমেনি। কুণাল জানান, যখনই তাঁদের মধ্যে কথা হত বেশিরভাগই অভিনয়ের কথাই হত। অভিনয় ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-প্রাণ। প্রাণের এই স্পন্দন ভবিষ্যতের জন্য রেখেই স্মৃতির সরণিতে চিরতরে আশ্রয় নিলেন শশী।

24294054_10159566014785577_7467602850843201777_n

[বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন পাওলি-অর্জুন, চার হাত এক হচ্ছে সুনীল-মেমের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ