সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুর দিকেই মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’। মুক্তির আগে থেকেই পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর যেই ছবি ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল একাধিক বিতর্কের। বক্স অফিসে সেরকম সাফল্যর মুখ না দেখলেও মুক্তির পরও কিন্তু সেই জল্পনার রেশ কাটেনি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছবিগুলিকে অবশ্য এদেশে বারবারই বিতর্ক এবং সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে। স্বাভাবিকবশতই সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বিবেকের ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ও। এবার সেই পরিচালকই প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তাঁর পরবর্তী ছবির পরিকল্পনা। নাম ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।
[আরও পড়ুন: করাচিতে অনুষ্ঠানের জের, গায়ক মিকাকে একঘরে করল সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন]
“AK47-এর গুলিতে বুড়ো-বাচ্চা নির্বিশেষে মেরে ফেলা হল। ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করা হল মহিলাদের। কাঠ কাটার করাত দিয়ে পুরুষদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাঁদের বসতি…।”
ছবির নাম শুনেই নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে যে এই ছবিও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েই তৈরি হচ্ছে। এবার পরিচালক বিবেকের ফ্রেমে পর্দায় ফুটে উঠবে জম্মু ও কাশ্মীরের জটিল পরিস্থিতি। সদ্য ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটায় বদলে গিয়েছে উপত্যকা অঞ্চলের মানচিত্র। ফের অস্থির হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। মোদি সরকার ২.০-র এই সিদ্ধান্তের পর সপ্তাহ ঘুরলেও পরিস্থিতির কোনও হেরফের হয়নি। ইদ কেটেছে শান্তিপূর্ণভাবেই। তবে জনজীবন কি এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছে? সন্দিহান অনেকেই। কারণ, ভূস্বর্গের একাধিক জায়গায় যোগাযোগ এখনও বিক্ষিপ্ত। ‘লকডাউন’-এর জন্য কাশ্মীরের দূরভাষ পরিষেবাও বিভ্রাটে। ফলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা একপ্রকার অসম্ভবপরই হয়ে উঠেছে। এর মাঝেই জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ছবি তৈরির কথা ঘোষণা করলেন ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ খ্যাত বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। আগামী বছর ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ছবির বিষয়বস্তু কাশ্মীরি হিন্দুদের বিপর্যস্ত জনজীবন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিগামী বিমানে প্রসেনজিৎ-মুকুল সাক্ষাৎ, মুখ খুললেন ‘সাক্ষী’ মিমি চক্রবর্তী]
পরিচালক বিবেকের কথায়, “অনেকদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ছবি তৈরি করতে চাইছিলাম। ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এর সাফল্যের পর আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছে। ’৯১ সালে ঘরছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জনযীবন আধুনিক ভারতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নিজের দেশেই যাদের উদ্বাস্তুর মতো অবস্থা, তাদের কথা একবার ভেবে দেখুন তো! এক মধ্যরাতে হঠাৎ তাদের বলা হল বাড়িঘর-সম্পত্তি সব ছেড়ে উপত্যকা থেকে বিদায় নিতে। AK47-এর গুলিতে বুড়ো-বাচ্চা নির্বিশেষে মেরে ফেলা হল। ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করা হল মহিলাদের। কাঠ কাটার করাত দিয়ে পুরুষদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাঁদের বসতি। কী দুর্বিসহ পরিস্থিতি। তারপর থেকে শান্তি কি এখনও ফিরেছে? কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল কাশ্মীরে? ঠিক এই বিষয়গুলি নিয়েই আমার পরবর্তী ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। যেগুলি সম্পর্কে অবশ্যই অবগত হওয়া উচিত দেশবাসীর।”