সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক তছরূপের মামলায় এবার পালটা অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করল সলমন খানের পরিবার। কিছুদিন আগে পরিচালক অভিনব কাশ্যপ দাবি করেছিলেন সলমনের পরিবার তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় ‘খান’দানের বিরুদ্ধে তিনি আর্থিক তছরূপের অভিযোগও তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন সলমনের বিইং হিউম্যান শুধুমাত্র ‘শো-অফ’ এবং টাকা পাচারের জন্য একটি মাধ্যম। এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই এবার আইনের দ্বারস্থ হলেন আরবাজ ও সোহেল খান। আরবাজ সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা আইনি পদক্ষেপ করেছি এবং ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনেও অভিযোগ জানিয়েছি।” অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে যেভাবে এগনো উচিত, তাঁরা ঠিক সেভাবেই এগোচ্ছেন। অন্য যে কোনও উপায়ে লড়াইয়ে আগ্রহী নন তাঁরা।
দিন কয়েক আগে অভিনব কাশ্যপ ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। সেখানে তিনি সলমন খানের পরিবার ও ‘বিয়িং হিউম্যান’ সংস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, এই সংস্থা কালো টাকা সাদা করার কাজে লাগে সলমন ও তাঁর পরিবারের। সেলিম খানের মস্তিস্ক থেকেই এই পরিকল্পনা বেরিয়েছে। ‘দাবাং’য়ের শুটিংয়ে এমন একটি ঘটনার তিনি সাক্ষী ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন পরিচালক। জানান, ‘দাবাং’ ছবির শুটিং চলাকালীন তাঁর চোখের সামনে ৫টি সাইকেল বিতরণ করা হয়। পরের দিন সংবাদপত্রগুলিতে তিনি দেখেন, সলমন খান নাকি ৫ হাজারটি সাইকেল বিতরণ করেছেন। এই পরিকল্পনাগুলি সম্পূর্ণ সলমন খানের ভাবমূর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা বলে জানান পরিচালক। যাতে মিডিয়া এবং বিচারকরা সলমনের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলায় সদয় হন, তাই এই ব্যবস্থা। নিরীহ জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে সলমন ও তাঁর পরিবার অর্থোপার্জন করছে বলেও অভিযোগ করেন অভিনব কাশ্যপ।
[ আরও পড়ুন: চোখের জলে বিদায় সুশান্তের, পাটনার বাড়িতে প্রার্থনা সভার আয়োজন করল অভিনেতার পরিবার ]
এর আগে অনুভব কাশ্যপ অভিযোগ তোলেন, সলমনের ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান তাঁকে কার্যত ‘ধমক দিয়ে’ তার ক্যারিয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে ক্রমাগত বুলিং করা হয়েছিল। তাঁর কেরিয়ারও ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁরা। সলমন ও তাঁর ভাইদের জন্য অষ্টবিনায়ক ফিল্মসের সঙ্গে তাঁর কাজ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি তাঁদের ছবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর সংস্থার প্রধান রাজ মেহেতাকে ফোন করে ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ অভিনবর। ফলে তাঁকে ফেরত দিতে হয়েছিল সাইনিং অ্যামাউন্ট। ভায়াকম পিকচার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময়ও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সোহেল খান ভায়াকমের সিইও বিক্রম মালহোত্রার সঙ্গে সুসম্পর্কের ফায়দা তুলে তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। পরিচালক বলেন, এরা কেরিয়ার তৈরি করে না, নষ্ট করে। তিনি জানেন তাঁর শত্রু কে। তাঁরা হলেন সেলিম খান, সলমন খান, আরবাজ খান ও সোহেল খান।