সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে এমন কখনও হয়ে কি না মনে করতে পারা কঠিন। ছবি তৈরি করার জন্য পরিচালককে সংসদে এসে জবাবদিহি করতে হয়েছে। লিখিতভাবে জবাব দিতে হয়েছে একাধিক প্রশ্নের। কেমন ছিল সেই প্রশ্ন? নিজের ‘পদ্মাবতী’র হয়ে কতটা জবাব দিতে পারলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি? উত্তর মিলল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
[অভাবনীয় উপহার পেলেন ক্যাটরিনা, ফের কি প্রেমে পড়লেন সলমন?]
কালো পাঞ্জাবি পরে এসেছিলেন বনশালি। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ছিলেন। সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে হাজিরা দেন। ৩০ জন সাংসদ একযোগে প্রশ্নপর্ব চালান পরিচালককে। প্রশ্ন করা হয়, কেন নিজের ছবিকে ইতিহাস নির্ভর বলতে অস্বীকার করছেন বনশালি? যেখানে তাঁর ছবির চরিত্ররা সকলে ইতিহাসে বিদ্যমান। পরিচালকের উত্তর ছিল তাঁর এ কাহিনি মহম্মদ জায়সির বিখ্যাত কবিতা ‘পদ্মাবত’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি করা হয়েছে। এ উত্তরে পার পেয়ে গেলেও কমিটির কিছু প্রশ্নের উত্তর দেননি বনশালি। পরিচালককে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন সিবিএফসি-র সিদ্ধান্তের আগে নির্দিষ্ট মিডিয়াকে নিজের ছবি দেখিয়ে ফেলেছেন তিনি? জবাবে চুপ থেকেছেন পরিচালক। প্রশ্ন দেননি কেন তিনি বছর খানেক আগে বিতর্কের শুরুতে চুপ করেছিলেন? কর্ণি সেনাকে ছবিটাকে আদৌ দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি? মেলেনি সে প্রশ্নেরও উত্তর। তবে প্রসূন জোশী উত্তর দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, ছবিটি তিনি এখনও দেখেননি। তা দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। যাতে ইতিহাসবিদরাও থাকবেন। সেন্সর জবাব দিলেই স্ট্যান্ডিং কমিটি বিষয়টি নিযে পর্যালোচনা করবেন।
[মাঝ আকাশে মানুষীকে কী পরামর্শ দিলেন সুস্মিতা?]
কমিটির প্রধান ছিলেন বিজেপি সাংসদ ভগৎ সিং কোশিয়ারি। ছিলেন কোটা ও চিত্তোরগড়ের সাংসদ ওম বিড়লা ও সিপি জোশীও। শোনা যাচ্ছে, সেন্সরের রিপোর্টের পরই খতিয়ে দেখা হবে বনশালির লিখিত উত্তরও। কিন্তু এরপরও কী ছবিটি মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে? এই প্রশ্নই উঠছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে বিতর্ক, বিভ্রান্তি দূর করতে ‘পদ্মাবতী’র দ্বিতীয় ট্রেলার প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। এভাবেই বিতর্কের আঁচ কমবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
[রটনাতেই বিতর্ক, বিভ্রান্তি দূর করতে আসছে ‘পদ্মাবতী’র দ্বিতীয় ট্রেলার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.