জন্মদিনে রেখা আজ সম্ভবত ৬৫। আজও টাইমলেস! আধডজন কারণ খুঁজল কফি হাউস।
স্টাইল আইকন
টি-শার্ট, স্কার্ট, লম্বা বিনুনি। একরঙা শিফন শাড়ি, খোলা চুল। কপালে বড় টিপ, নিচু করে বাঁধা খোঁপা, লাল লিপস্টিক। ওয়েস্টার্ন ওয়ের হোক বা ভারতীয় সাজ, রেখার শরীরে যেন সব কিছু আরও রঙিন, আরও আকর্ষণীয়। রিল লাইফের বাইরেও নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট ধরে রেখেছেন। ভারী সিল্কের শাড়ি আর জমকালো গয়নায়। দূর থেকে দেখেও বলে দেওয়া যায়, তিনি রেখা। এক এবং অদ্বিতীয়।
সেক্স অ্যাপিল
এক সময় দেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত (এবং বিবাহিত) পুরুষ যাঁর প্রেমে পড়তে পারেন, সেই নারীর মধ্যে আলাদা কিছু তো আছেই। রেখার চোখে-ঠোঁটে-গালে উপচে পড়ত যৌন আবেদন। ‘উৎসব’ বা ‘উমরাও জান’-এর অনেক, অনেক বছর পরে ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ ফিল্মে যখন তিনি অক্ষয়কুমারকে অনস্ক্রিন সিডিউস করছেন, একটুও বেমানান লাগেনি কিন্তু। বরং পুরুষদের নতুন এক প্রজন্ম ডুবেছে রেখার নেশায়।
[আরও পড়ুন: ‘অসুস্থতার সময় অচেনা মানুষগুলোর শুভেচ্ছা কী করে ফেরাই’, কৃতজ্ঞ সৌমিত্র]
সময়ের চেয়ে এগিয়ে
বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক বা ত্রিকোণ প্রেম তিরিশ বছর কেন, তিনশো বছর আগেও নতুন ছিল না। স্রেফ অমিতাভের সঙ্গে প্রেম তাই রেখার সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকার প্রতিফলন নয়। তিনি সময়ের চেয়ে এগিয়ে থেকেছেন সেই সম্পর্কটাকে প্রকাশ্যে স্বীকৃতি দিয়ে, সমর্থন করে। অমিতাভ চুপ থাকলেও নিজের প্রেম লুকোননি রেখা। ‘উই আর জাস্ট গুড ফ্রেন্ডস’ শুনতে শুনতে পচে যাওয়া কানে যা সত্যিই কালজয়ী।
সাহস
অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্ক। বিনোদ মেহরাকে বিয়ে করা নিয়ে বিতর্ক। স্বামী মুকেশ আগরওয়ালের আত্মহত্যা। এক-একটা ঘটনা ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ থাকতে চাওয়া বলিউডের মূলস্রোত থেকে সরিয়ে দিয়েছে রেখাকে। সমর্থন তো পানইনি, উল্টে তীব্র সমালোচনা জুটেছে চারদিক থেকে। তবু রেখা হাল ছাড়েননি। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো সিনেমা ছেড়ে অজ্ঞাতবাসে চলে যেতেন। কিন্তু রেখার মেরুদণ্ড বোধহয় অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি।
[আরও পড়ুন: ‘চারবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম’, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি মীরের]
নারীশক্তির প্রতীক
দেবীপক্ষের শেষে নারীশক্তি আমাদের সবার মনে। সেই শক্তির মূর্ত প্রতীক রেখা। পুরুষদের ভালবেসেছেন, কিন্তু নিজেকে বা নিজের জীবনকে তাদের মুখাপেক্ষী করে রাখেননি। নামের সঙ্গে বাবা বা স্বামীর পদবি জোড়েননি। নিজেকে শুধু ‘রেখা’ করে রেখেছেন। সর্বদা নিজের শর্তে বেঁচেছেন, আজও বাঁচছেন। এমন নারীকে কুর্নিশ না করে পারা যায়?
আজও মুগ্ধ বিস্ময়
মঞ্চে বা অ্যাওয়ার্ড শো-এর রেড কার্পেটে রেখা মানেই দর্শকদের মুগ্ধ দৃষ্টি। তাঁর ঠোঁটে কী রঙের লিপস্টিক, চোখের মেক আপ কীরকম, চুল খোলা না বাঁধা, শাড়িটা কাঞ্জিভরম না কোয়েম্বাটোর সিল্ক- সব কিছু আজও খুঁটিয়ে দেখেন সব প্রজন্মের মহিলা। পুরুষরা তো অত খুঁটিনাটি বোঝেন না, তাঁরা স্রেফ মুগ্ধ দৃষ্টিতে রেখাকে দেখেন। শোনেন, রেখা কী বলছেন? কারণ তাঁর বলা প্রত্যেকটা কথা আজও আবেদন আর শাসনের উদযাপন।
[আরও পড়ুন: ‘তথাগত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড’, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অকপট প্রিয়াঙ্কা সরকার]
এক্স ফ্যাক্টর
এত কিছুর পরেও রেখার মধ্যে কিছু একটা আছে, যার ব্যাখ্যা শব্দে হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ার খুল্লমখুল্লা যুগেও তাঁকে ঘিরে একটা ‘মিস্টিক’ বর্তমান। অনুষ্ঠান ছাড়া প্রকাশ্যে আসেন না, যার জন্য তাঁর বলয় আরও দুর্ভেদ্য। কোন জাদুমন্ত্রে তিনি আজও এত সুন্দরী? তাঁর ডায়েট কী? ফিটনেসের জন্য কী করেন? কারও কাছে উত্তর নেই। এই রহস্যময়তা রেখার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।