সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশে শুটিং করতে হলে কলকাতা থেকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ১৯জন টেকনিশিয়ানকে। এই নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কারস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (FCTWEI)। ইতিমধ্যেই ফেডারেশনের তরফ থেকে ব্যান করা হয়েছে এই প্রযোজনা সংস্থাকে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের সমস্ত সিনেমার শুটিং। এবার এসকে মুভিজের পাশে দাঁড়াল দ্য ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনস (EIMPA)। তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আরজি জানিয়ে ফেডারেশনকে নোটিস পাঠাল ইমপা। শনিবারের মধ্যে এই ব্যান তুলে নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে ওই নোটিসে। শনিবারের মধ্যে ব্যান তুলে নেওয়া না হলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে ইমপা। মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতাতেই সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটবেন প্রযোজকরা।
[‘সাঁওতাল ভাষা’ নিয়ে বিতর্ক, সোশ্যাল মিডিয়ায় কী বললেন ঋত্বিক?]
মঙ্গলবার ইম্পার অফিসে এক বৈঠকের আয়োজন করে জয়েন্ট কনসিলিয়েশন কমিটি। বৈঠকের পর ইমপার পরিচালক বিভাগের সাধারণ সম্পাদক বিমল দে জানান, ফেডারেশনের অংশ হয়েও ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। এমনকী ব্যান করার এই সিদ্ধান্তকে বেআইনিও বলেন তিনি। তাঁর মতে এভাবে চলতে থাকলেও বাংলা ছবিতে টাকা বিনিয়োগ করতে ভয় পাবেন ছোট প্রযোজকরা। ফলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। এ বিষয়ে সরব হয়েছেন এসকে মুভিজের কর্ণধার হিমাংশু ধানুকাও। তাঁর মতে এই ব্যান করার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ষড়ষন্ত্র।
[‘রামরাজ্য’ নিয়ে সেন্সরের আপত্তিতে পিছোল ‘মেঘনাদবধ রহস্য’-এর মুক্তি]
তবে শুধু এসকে মুভিজ নয়, ফেডারেশনের দাদাগিরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক ঋতব্রত ভট্টাচার্যও। সম্প্রতি ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে শুটিং করার কথা ছিল, যেখানে প্রয়োজনের বাইরেও তাঁকে তিনজন টেকনিশিয়ানকে বেশি নিতে হয়। এমনকী তার জেরে বদলে ফেলতে হয় শুটিং লোকেশনও। ভারতের আর কোথাও আঞ্চলিক ছবির ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান নিয়োগ করার ক্ষেত্রে এরকম কোনও নিয়ম নেই। প্রয়োজন মতোই টেকনিশিয়ান নিয়োগ করে থাকেন প্রযোজকরা। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম চালু করারই পক্ষপাতি প্রযোজকরা।