সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ২৫ বৈশাখ। কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মদিন। কিন্তু করোনার কারণে আজকে দিনে নেই কোনও আড়ম্বড়। কিন্তু রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনে কোনও বিরাম নেই। এবারে এক অনন্য উপায়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তী। অনলাইনে কবিগুরুকে সম্মান জানাচ্ছে বাঙালি। বাচিকশিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এমনই এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও।
ভিডিওর শুরুতে ঋতুপর্ণা বলেছেন, “ভারতবর্ষ আজকে খুবই দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই এই ‘ভারত তীর্থ’ কবিতার মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই একটু প্রার্থনা করি যাতে আমাদের ভারতবর্ষ ভাল থাকে।” সুজয়প্রসাদের এই উদ্যোগে ভারত ছাড়াও আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন দেশের ৩৩ জন ছেলেমেয়ের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘ভারত তীর্থ’। ভিনদেশীর কণ্ঠে কবির কবিতা ফুটে উঠেছে ভিডিওতে। ভিডিওটি করেছেন অর্ক গোস্বামী। সুজয়প্রসাদ জানিয়েছেন, “ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এই অন্ধকার সময় দূর হোক। কবিতা হয়ে উঠুক প্রার্থনা। তাই এই বিশেষ উদ্যোগ।” সাম্প্রতিকতম বিশাখাপত্তনমের গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, “ভাইজ্যাগে যা ঘটেছে তা আমাদের ব্যথিত করেছে। জানিনা, ভারত সব কলুষতা মুক্ত হয়ে আবার কবে মৃত্যুপুরীর দুয়ার থেকে ফিরবে।”
[ আরও পড়ুন: লকডাউনের রবীন্দ্রজয়ন্তী, দিনভর রবীন্দ্র স্মরণ সংবাদ প্রতিদিন-এর ফেসবুক পেজে ]
গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি মানুষকে আজ ঘরবন্দি। প্রতিষেধক, ওষুধ ছাড়াই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে অসম যুদ্ধে নেমেছে গোটা বিশ্ব। যাঁরা সম্মুখে থেকে এই যুদ্ধ লড়ছেন, তাঁদের এই ভিডিওর মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। ‘ভারত তীর্থ’ শুরু হয়েছে চিকিৎসক ও স্বার্থকর্মীদের একটি মেসেজের মাধ্যমে- ‘We stay here for you, please stay home for us.’ এরপরই স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে আরও একটি বার্তা- ‘সেই সমস্ত যোদ্ধাদের প্রতি আমাদের প্রণাম জানাই যাঁরা COVID-19-এর সঙ্গে নীরবে মোকাবিলা করছেন আমাদের সুস্থ রাখার জন্য।’ এরপরই আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ‘হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগো রে ধীরে…।’ সবার সঙ্গে একযোগে সুজয় প্রসাদ প্রার্থনা জানিয়েছেন, “তোমার দেনাপাওনা এবার শেষ কর। এই তীর্থস্থানকে শ্মশান করে তুলো না।”