Advertisement
Advertisement
Ankush Hazra

মারকুটে নায়ক নন, ‘ওগো বিদেশিনী’ ছবিতে মন কাড়ল মিষ্টি প্রেমিক অঙ্কুশ, পড়ুন রিভিউ

ভাল লাগবে বিদেশি অভিনেত্রী আলেকজান্ড্রাকেও।

Ankush Hazra's new movie ogo bideshini Movie Review | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:November 18, 2022 1:08 pm
  • Updated:November 18, 2022 1:09 pm

চারুবাক: লন্ডনবাসী ছেলের (Ankush Hazra) সঙ্গে অনেক বছর বাদে বাবা (শান্তিলাল) ও মা(মানসী) দেখা করতে যাচ্ছেন। মনে মনে মায়ের খুব ইচ্ছে “বিশুদ্ধ এক বাঙালি ব্রাহ্মণ” মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে পাকা করে ফিরবেন। সেই খাঁটি বাঙালি মেয়ে তৃষা (রাজনন্দিনী) রয়েছে লন্ডনেই তার বাবা মায়ের সঙ্গে। এদিকে অঙ্কুশ বাবাজীবন তো সুজান নামের এক মেম তরুণীর চ্ক্করে পরে প্রেমের সাত পাকে বাঁধা প্রায় হয়েই আছে! মা – বাবার, বিশেষ করে রাগী “মম” এর সামনে তো সুজানকে আনাই যাবে না। সেজন্য ওই কটা দিন প্রেমিকাকে সে সরিয়ে দেয় অন্য বাড়িতে। কিন্তু সুজান নিজেই খুব ইচ্ছুক হবু বরের বাবা – মায়ের সঙ্গে পরিচয় করতে। সুযোগ বুঝে সুজান ঢুকেও পরে প্রেমিক এবি (অনাথবন্ধু)র বাড়িতে। এমনকী, খাঁটি বাঙালি মায়ের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্বও হয়ে যায়। মাকে নিয়ে সে লন্ডন শহর ঘুরিয়ে দেখায়, বাঙালি রান্না শেখে, ফুলকো লুচি বানাতে পারে। অচিরেই মায়ের কাছে সে হয়ে ওঠে প্রিয়”সুজুমা”! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এরপর কোনদিকে নাটক গড়াবে! না, সেটা বলে দিলে হলে গিয়ে আর দেখবেনটা কী!! তবে পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ কোনও ভরংবাজি না করে, সোজা সাপটা হাসির মোড়কে চিত্রনাট্য (সহযোগী:প্রতীক কুন্ডু) বেঁধেছেন।

তেমন অ্যাকশন নেই। সেই সুরেই বাঁধা গোটা ছবিটা। মধ্যবয়সী শান্তিলাল – মানসী যেমন চিত্রনাট্যের নির্যাসটুকু বুঝে নিয়ে নিজেদের মতো করেই হাসির পরিবেশ বানিয়ে নিয়েছেন, তেমনি অঙ্কুশও। একটু অস্বস্তির ভাব তাঁর অভিনয়ে বেরিয়ে পড়লেও, মন্দ সঙ্গত করেননি ওদের সঙ্গে। সুজেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদেশি অভিনেত্রী আলেকজান্ড্রা। দেখতে তেমন সুন্দরী না হলেও, প্রেমের ও গানের দৃশ্যে বেশ সাবলীল। মানসীর সঙ্গে তাঁর ভাষার “জেলিং” টা মজাদার। আর বেচারি রাজনন্দিনী পাল! তাঁর অভিনয়ের তেমন সুযোগই ছিল না চিত্রনাট্যে। “আমি চিনি চিনিগো তোমারে…” গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন, তাও পুরোটা নয়!
তাঁর জন্য আরও দুটো দৃশ্য তৈরি করা যেতে পারত।

Advertisement

Advertisement

[আরও পড়ুন: খুনের রহস্যভেদের আড়ালে আরও অনেক কথা বলে রজতাভ,জয়, সুদীপ্তার ‘তৃতীয়’, পড়ুন রিভিউ ]

এই ছবি অবশ্য একটা মোক্ষম শিক্ষা দিয়েছে দর্শকদের – মনের কী কোনও ভাষা হয়!? মনের মিল থাকলে মুখের ভাষা কোনও বাধা নয়। টালিগঞ্জের নামী ফিল্ম প্রতিষ্ঠান ধানুকা ফিল্মস গত কিছু সময় ধরে লন্ডনককে লোকেশন বানিয়ে বেশ কিছু ছবি করেছেন, শুনছি পাইপলাইনে আরও কিছু রয়েছে। বাবা অশোক ধানুকার পায়ে পা মিলিয়ে ছেলে হিমাংশুও সেই ধারাটি বজায় রাখতে চাইছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে। একটাই অনুরোধ, অহেতুক খুন জখম, মারপিট, অ্যাকশন আর নাচের বাটিচচ্চড়ি না বানিয়ে এমন ফুরফুরে বাংলায় ভনিতাহীন ছবি করুন না! দেখবেন ছবি ব্যবসাও করবে, দর্শকদের মন জয়ও করবে।

[আরও পড়ুন: বাজিমাত রাজকুমার, রাধিকা ও হুমা কুরেশির, থ্রিলার কাকে বলে দেখিয়ে দিল ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ