সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবু মনে রেখো। সম্পর্কটুকু না হয় বন্ধুত্বের মোড়কে থাক। এই না থেকেও থাকা যেন আটকে দেয় প্রাক্তন সম্পর্কের চোরাবালিতে। মুখে হাসি, মনে ব্যথা কিছুতেই যেন আর এগোতে দেয় না। নতুন জীবনকে বেছে নিতে দেয় না। সম্পর্কের বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্বের নজির কম নেই পৃথিবীতে। কিছুদিন আগেও হাত ধরে ব়্যাম্প মাতিয়েছেন রণবীর কাপুর-দীপিকা পাড়ুকোন। কিন্তু সত্যিই কি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্ভব? তাতে কি আখেরে কোনও লাভ হয়? নাহ! বিশেষজ্ঞরা অন্তত এমনটাই উত্তর দিচ্ছেন। কেন? কারণ-
[কীভাবে ভাল থাকবেন? আপনার মনেই লুকিয়ে আছে অব্যর্থ উপায়]
১) বিচ্ছেদের পরও প্রেমিক অথবা প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলার অভ্যাসটি যাবে না। ছোটখাটো অজুহাতে তাঁকেই ফোন করতে ইচ্ছে করবে। দেখা করতে ইচ্ছে করবে। এভাবেই মনের ভিতরে ফিরে আসার সুপ্ত ইচ্ছেটি থেকেই যাবে। এই ইচ্ছেই আপনাকে নতুন জীবনে এগোতে দেবে না। নতুন করে কাউকে আপন করে নিতে পারবেন না আপনি। ফলে প্রাক্তনের স্মৃতিতেই আটকে থেকে যাবেন।
২) যদি আপনি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েও যান তাহলেও কিন্তু বিপদ। নতুন-প্রাক্তনের মাঝে আটকে থাকবে আপনার মন। না পারবেন পুরনোকে পুরোটা ছাড়তে, না পারবেন নতুনকে পুরোপুরি আপন করে নিতে। এমনও অনেক সময় হয়, নতুন প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে প্রাক্তনকেই খুঁজতে থাকেন অনেকে। ফলে নতুন সম্পর্কটিও প্রাক্তন হতে বেশি সময় লাগে না।
৩) প্রাক্তনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতে থাকলে তাতে অতীত প্রসঙ্গ আসা স্বাভাবিক। ফলে ফেলে আসা দিনের তিক্ততাগুলিও বারবার উঠে আসবে। আর তা আরও তিক্ত হবে। দোষ কার ছিল? এই প্রশ্নেই ফের নতুন করে ঝামেলা শুরু হতে পারে।
তাই সম্পর্ক চুকে গেলে পুরোটাই চুকিয়ে দিন। হিসেব-নিকেশ যা মেটাবার মিটিয়ে নিন। তারপর নতুন করে পথ চলা শুরু করুন। নতুনের কথা ভাবলে তবেই না নতুনত্বের স্বাদ পাবেন!
[যত তাপমাত্রা তত ছাড়, অভিনব অফার নিয়ে হাজির ‘দ্য ডাগআউট’]