চারুবাক: ইদে যদি বলিউডের বাজি ‘ভাইজান’ সলমন হয়, তবে টলিউডের টেক্কা অবশ্যই ‘সুলতান’ জিৎ। ইদ পরবে এখন তাঁকে বাংলার স্টার বলাই যায়। গত দুই-তিন বছর ধরে ইদের চাঁদ দেখা দিলেই রুপোলি পর্দায় দেখা মেলে জিতের। বলা বাহুল্য তাঁর ছবিই উৎসবের মরশুমের অন্যতম আকর্ষণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ‘আকাশে বাতাসে মাটিতে পানিতে খুশির পালক’ ছড়িয়ে জিৎ ওরফে ‘সুলতান দ্য সেভিয়র’-এর রাজা সকলকে ইদ মুবারক জানালেন এবারও। কিন্তু যতদূর জানি ইদ ভালবাসা-সম্প্রীতি ও প্রেমের পরব। অথচ এ ছবির দ্বিতীয় পর্বে সুলতান সেজে জিৎ শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে মারপিট করে যেভাবে একের পর এক লঙ্কাকাণ্ড বাধালেন, সেগুলো কি ইদের স্পিরিটের সঙ্গে মানানসই!
[ শাকিবের দুসরায় বোল্ড হবেন ললনারা? কেমন হল ভাইজানের কীর্তি? ]
প্রথম পর্বে রাজা সেজে তার শান্ত,সরল যে রূপটি দেখা যায় সেটি আসলে মুখোশ। মুখোশের আড়ালে ‘সুলতান’ রয়েছে। যার বীজমন্ত্র হল, ‘টাকা ধ্যান, টাকা জ্ঞান, টাকা চিন্তামনি’। আর তিনি মারকুটে রূপ নিলে ‘ফাটবে ফুটবে বাড়িওয়ালা বুঝবে’। এরকম চড়া মাপের স্লোগান সর্বস্ব জিতকে বাঙালি দর্শক আরও অনেকবার দেখেছে। গেট আপটা নতুন করা ছাড়া গল্পে বা চরিত্রে অভিনবত্ব কিছুই নেই। শোনা যায়, দক্ষিণী ‘বেদালাম’ ছবির নকল এটি। কিন্তু সে ছবিতে অজিত যেভাবে রাজা বা সুলতানকে গড়েছিলেন, তার কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেননি জিৎ। তবুও বোনের চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা সরকার কিছুটা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ওপার বাংলার মিম, সারা ছবি জুড়ে মডেল সুন্দরীই হয়ে থেকে গেলেন।
[ ভাইজান থাকাই সার! গল্পের গরু গাছে তুলে হোঁচট রেমোর ‘রেস’-এর ঘোড়ার ]
না, গান নিয়ে বাড়তি শব্দ খরচ করে লাভ নেই। জিৎ-প্রিয় দর্শকরা তো দেখতে যাবেনই, তা জিৎ ধরেই নিয়েছেন। ছবির পরিচালক রাজা চন্দ। তাকে তো পরিচালনা করেছেন নায়ক-প্রযোজক জিৎ। এবং জিৎ পরিচালিত হয়েছেন ‘ভেদলম’ ছবির চিত্রনাট্যের দ্বারা। সুতরাং রাজা চন্দের কাজটি কত কষ্টকর ছিল বুঝেই নিন! এখন ছবির ভিলেনদের পিটিয়ে লাট করার মতো জিৎ দর্শকদেরও মাত করতে পারেন, নাকি সেখানে সেভিয়রের ভূমিকা নেন, দেখা যাক।