Advertisement
Advertisement
মিঠুন চক্রবর্তী

বাবার অসুস্থতার গুজব নিয়ে এ কী বললেন মিঠুন-পুত্র?

১২ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে মিঠুনের ছবি 'দ্য তাসখন্দ ফাইলস'।

Mithun Chakraborty's son Namashi says Mithun is all fine
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 9, 2019 6:12 pm
  • Updated:April 9, 2019 6:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতেই তিনি এখন বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন ডিস্কো ডান্সার। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’। আর তার প্রাক্কালেই মিঠুন চক্রবর্তীর কনিষ্ঠ পুত্র নামাশি চক্রবর্তী বাবাকে নিয়ে কথা বললেন। হাইপ্রোফাইল পার্টিতেও খুব একটা দেখা যায় না তাঁকে। ফিল্মি কেরিয়ারের পাশাপাশি নিজের ব্যবসা নিয়েও ভীষণ ব্যস্ত মিঠুন। আর তাই সবসময়ে প্রচারের আলোতে থাকার দৌড়েও শামিল নন তিনি। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই, মিঠুন-ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। যে তিনি কখন কোথায়, কীভাবে রয়েছেন, কী করছেন-এসব নানা প্রশ্নের ভিড় তাঁদের মনে। উপরন্তু, মাঝেমধ্যেই শোনা যায় প্রবীণ এই অভিনেতা নাকি গুরুতরভাবে অসুস্থ। আক্রান্ত কোনও এক মারণরোগে। আর তাই চিকিৎসার জন্য বার বার তাঁকে যেতে হয় মার্কিন মুলুকে। এহেন নানা কথাই শোনা যায় মিঠুন প্রসঙ্গে। কিন্তু, আদৌ কি তাই? সত্যিই কি মিঠুন চক্রবর্তী মার্কিন মুলুকে মাঝেমধ্যেই উড়ে যান তাঁর চিকিৎসার জন্য? উত্তরটা দিলেন মিঠুন-পুত্র নামাশি।

[আরও পড়ুন: পরের ছবিতে কীরকম চরিত্রে দেখা যাবে? নিজেই ফাঁস করলেন শাহরুখ]

Advertisement

নামাশির কথায় বাবার শরীরে সেরকম কোনও গুরুতর সমস্যাই নেই। তবে হ্যাঁ, মাঝেমধ্যেই পিঠের ব্যাথাটা চাগার দিয়ে ওঠে। শুধুমাত্র ওই একটা সমস্যা, যেটা ভোগায়। চারদিকে যা কিছু শোনা যায় তা পুরোটাই অপ্রাসঙ্গিক! বাবা তো দিন কয়েকের জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে গেলেও সবাই ভেবে বসেন যে তিনি গুরুতর অসুস্থ! তবে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। আপাতত, কেরলে রয়েছেন বাবা। সেখানেই বিশেষভাবে চলছে তাঁর পিঠের ব্যাথার চিকিৎসা। ৯০ শতাংশ সেরে উঠেছেন। জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসা পর সেই ব্যাথাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে তাঁর। সামনেই ছবি মুক্তি পাচ্ছে বাবার ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’। তখনই মুম্বইয়ে ফিরছেন তিনি। তাই আমরাও আপাতত বাবার মুম্বইয়ে আসার অপেক্ষায়। বয়সের ভাড়ে চেহারায় চাপ পড়েছে, ব্যবসা, সিনেমা সবকিছু সামলে তিনি ক্লান্ত, মিঠুনের ঘনিষ্ঠরা অনেকেই এমনটা দাবি করেছেন।

Advertisement

সঙ্গে নামাশি তাঁর শৈশবের স্মৃতিও শেয়ার করেছেন। ২৬ বছর বয়সি এই অভিনেতা জানান, তিনি মুম্বইতেই জন্মেছেন। যখন তাঁর বছর বয়স তখন সপরিবারে বাবা উটিতে শিফট হয়ে যান। সেখানে তাঁদের বিনোদনের খোরাক বলতে ছিল টিভি এবং বাবার ছবির ট্রায়ালগুলো। সেসমসয়ে একটা মাত্র প্রেক্ষাগৃহ ছিল সেখানে। আর বাবা রাত ৯ টার শোতে পুরো প্রেক্ষাগৃহটাই বুক করে নিতেন আমাদের জন্য। বাবার ছবি দেখেই শৈশবটা কাটিয়েছি। ছবিতে বাবাকে হিরো হিসেবে দেখে নিজেরও হিরো হওয়ার সাধ জেগেছিল তাই। কিন্ত, হাজার হলেও তিনি ‘নাইনটিনজ কিড’, তাই শাহরুখ এবং গোবিন্দাকে নিয়েও একটা উন্মাদন ছিল।

[আরও পড়ুন:  কঠিন বাস্তবের প্রতিচ্ছবি রূপোলি পর্দায়, জুটি বাঁধলেন সোহম-তনুশ্রী]

আপাতত বড় ছবিতে ব্রেকের আশায় নামাশি। তাঁর জন্য প্রচুর অডিশনও দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “বাবা বলেছেন কাজের জন্য কখনও আমার উপর নির্ভর করে থেক না। আর জীবনে প্রত্যাখ্যাত হলেও দুঃখ পেয়ে ভেঙে পড়ো না।” বাবার সেই কথাই নামাশির কাছে বেদবাক্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ