সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ‘আজান’ বিতর্ক। এবার মসজিদের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করলেন বর্ষীয়ান লেখক তথা গীতিকার জাভেদ আখতার। দাঁড়ালেন নিজের সহকর্মী সোনু নিগমের পাশে। জানালেন, কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা লোকালয়েই মাইকের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
[নারীর পৃথিবী না পালটাক, পর্দায় প্যাডম্যান-এর বদলের ডাকটুকুই প্রাপ্তি ]
গত বছর এই আজান বিতর্ক নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। সূত্রপাত হয়েছিল সোনু নিগমের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে। সোনু জানান, কীভাবে রোজ কাকভোরে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর পাশের মসজিদের লাউডস্পিকারে চলা ‘আজান’-এর শব্দে। নিজের অভিযোগের প্রমাণ দিতে একটি ভিডিও আপলোডও করেছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী। এতেই কট্টরপন্থীদের রোষের মুখে পড়েন সোনু। তাঁর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি তথা মৌলবী সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদরি ফতোয়া জারি করেন। হুমকি দেন, সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় একজোড়া ফাটা জুতোর মালা পরিয়ে গোটা দেশে ঘোরাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম দেবেন। ইমামের ফতোয়ার যোগ্য জবাব দেন সোনু। নিজেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বুধবার মাথার সব চুল কেটে ফেলেন। তারপর দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকে যেন ওই ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।
[ছেলেকেই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছে বাবা, অমিতাভ-ঋষির কাণ্ডকারখানায় তাজ্জব দর্শক]
সোনুর এই সাহসিকতার প্রশংসায় সে সময় মুখর হয়ে উঠেছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনুকে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক পোস্ট আছড়ে পড়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বিতর্কের আঁচও কমে আসে। তবে সোনুর বিপদ কমেনি। জাভেদের এই মন্তব্যের পর সংবাদমাধ্যমকে সোনু জানান, এখনও আজান বিতর্কের জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। এই অবস্থায় এখন আর কেউ তাঁর পাশে নেই। ‘পদ্মাবত’-এর জন্য সকলে স্লোগান দিতে পারেন, কিন্তু তাঁর পাশে কেউ দাঁড়াতে ভয় পান। এমন পরিস্থিতিতে জাভেদ আখতারের মতো মানুষ পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞ তিনি। সেই সাহসে ভর করেই লড়াই চালিয়ে যাবেন।
[খিলজির চরিত্র পেলে রণবীরের থেকে ভাল অভিনয় করতাম: শাহিদ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.