সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ সভায় এসে এমনটাই জানালেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, একতাই আসল অস্ত্র। সবাই যদি একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে, তাহলেই আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে।
অনুরাগ এদিন বলেন, “আমাদের লড়াই ধৈর্যের সঙ্গে লড়তে হবে। হিংসাত্মকভাবে নয়। এটাই চাবিকাঠি। এক বা দু’দিনে এর মীমাংসা হবে না। আমাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সব প্রশ্নের উত্তর আমরা পাব। এই লড়াই অনেক দীর্ঘ। কিন্তু আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। তোমরা হয়তো অনেকে ভাবছো কেন আরও মানুষ সামনে আসছে না? কিন্তু অনেকে নিঃশব্দে তোমাদের পাশে রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে কী হচ্ছে। জামিয়া থেকে জেএনইউ, লড়াই ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। বহু বছর পর এই প্রথম গোটা বিশ্ব দেখল দেশের একতা কাকে বলে। আমাদের দেশ ও সংবিধানকে ফিরিয়ে আনতে হবে।” পরিচালকের বক্তব্যের শেষে ছিল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান।
[ আরও পড়ুন: ধর্মের নামে হানাহানি আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নগ্ন রূপ ফুটে উঠল ‘ধর্মযুদ্ধ’র ট্রেলারে ]
১১ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশের পর থেকে তার বিরোধিতা করে আসছেন অনুরাগ কাশ্যপ। একাধিকবার তিনি প্রশাসনকে এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কখনও সরকারকে ‘ভীতু’ বলেছেন; কখনও আবার বলেছেন ‘আশপাশে ক্যামেরা থাকলে তবেই মোদি কাজ করেন।’ এর আগেও অনেকবার মোদির বিদেশ সফর থেকে একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সম্প্রতি জাতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি সরকারকে একহাত নেন অনুরাগ কাশ্যপ। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মতো ছবির পরিচালক আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদী সবসময় কংগ্রেসকে দোষ দেন। আজ তিনি নিজেই ইন্দিরা গান্ধীর মতো কাজ করছেন। আর অমিত শাহ তো সঞ্জয় গান্ধীর চরিত্র করছেন। তাহলে তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের কী পার্থক্য থাকল?” অনুরাগ ছাড়া বিশাল ভরদ্বাজ ও অভিনেতা রিচা চড্ডা-সহ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই CAA’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।