সোমনাথ লাহা: প্রায় দু’দশকের কর্মজীবন। ১২টি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি পেয়েছেন একাধিক দেশি-বিদেশি সম্মান। বিজ্ঞাপনী আঙিনা হোক কিংবা চলচ্চিত্রের দুনিয়া, সর্বত্রই নিজের দক্ষতাকে সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তৈরি করেছিলেন নিজস্ব ‘ব্র্যান্ড ঋতুপর্ণ’ ইমেজ। এহেন ঋতুপর্ণ ঘোষকে এবার ট্রিবিউট জানাতে চলেছেন সাংবাদিক কাম লেখক তথা পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরবর্তী হিন্দি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘সিজন গ্রিটিংস’-এর মাধ্যমে।
রামকমলের দ্বিতীয় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এটি। ইতিমধ্যে এষা দেওলকে নিয়ে নিজের প্রথম হিন্দি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি তথা শর্টফিল্ম ‘কেকওয়াক’-এর কাজ সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। আগের ছবিটির মতো এই ছবিটিও তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করছেন অভ্র চক্রবর্তী। অ্যাসর্টেড মোশন পিকচার্স ওএসএস ওয়ান এন্টারটেনমেন্টসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবির প্রযোজকদ্বয় হলেন শৈলেন্দ্র কুমার ও অরিত্র দাস।
[প্রেম করছেন আলিয়ার সঙ্গে, শেষমেশ স্বীকার করলেন রণবীর]
মূলত মা ও মেয়ের সম্পর্ককে ভিত্তি করে এগিয়েছে এই ছবির কাহিনি। তবে মুখ্য চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। সূত্রের খবর, ইন্ডাস্ট্রির দু’জন অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক প্রস্থ কথাবার্তা সেরে ফেলেছেন রামকমল। তবে কেউই এখনও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেননি। তাই এই মুহূর্তে কোনও শিল্পীর নামই খোলসা করতে নারাজ পরিচালক। ছবির কাহিনি লিখেছেন রঞ্জিব মজুমদার। চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা চন্দ্রোদয় পাল। সংগীত পরিচালনায় শৈলেন্দ্র সায়ন্তী। সিনেমাটোগ্রাফার প্রভাতেন্দু মণ্ডল।
ঋতুপর্ণ ঘোষের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই প্রকাশিত হয়েছে ছবির টিজার পোস্টার। নিজের দ্বিতীয় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি প্রসঙ্গে রামকমল জানান, ‘এটা কোনও বায়োপিক নয়। এই বিষয়টা আমি আগেই সকলকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। সাংবাদিকতার সূত্রে আমি ঋতুদার সঙ্গে কলকাতা ও মুম্বইতে বহুবার কথাবার্তা বলেছি। ঋতুদা যখন সুভাষ ঘাইয়ের প্রযোজনায় দ্বিভাষিক ছবি ‘নৌকাডুবি’র কাজ করছিলেন সে সময় খুব কাছ থেকে তাঁর কাজ দেখার ও তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। সাংবাদিকতার সূত্রে ঋতুদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। যখনই আমাদের মধ্যে কথোপকথন হত তার বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই থাকত সিনেমা নিয়ে আলোচনা। ওঁর রসবোধ ও কাজের প্রতি খুঁটিনাটি দৃষ্টিপাত বরাবরই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি সবসময়ই পর্দায় একটা গল্প বলতে চাইতাম। ‘কেকওয়াক’-এর পর আমি প্রথম একটা ছবি তৈরি করতে চাইছিলাম যার মধ্যে ঋতুদার অনুভূতি ও সংবেদনশীলতার ছাপ রয়েছে।’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বর্ষাতেই কলকাতায় হবে এই ছবির শুটিং।
[মন ভাল নেই, তাই এই কাজটিই করছেন অঙ্কুশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.