Advertisement
Advertisement

Breaking News

জবা

শুধুমাত্র কাঁচি দিয়েই মানববোমা নিষ্ক্রিয়করণ! নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক ‘জবা’

বোমা নিষ্ক্রিয়করণের এই পর্বই এখন নেটদুনিয়ার হটকেক।

Netizens trolled actress of 'Ke apon ke por' serioul's Jaba
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 29, 2020 6:07 pm
  • Updated:March 1, 2020 12:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরঞ্জিত বিষয়বস্তু দিয়ে দর্শকদের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যকাররা। আর তার ফলে ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকের টিআরপি। নিন্দুকরা এমনই  বলে  থাকেন.  আর ঠিক এই কারণেই নেটদুনিয়ায় সমালোচিত ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকারা। এতদিন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের ‘জুন আন্টি’কে নিয়ে মেতে ছিলেন নেটিজেনরা। তবে এবার সেই জায়গা দখল করে নিয়েছেন ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের ‘জবা’। সম্প্রতি কাঁচি দিয়ে মানববোমা নিষ্ক্রিয় করে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার ছোটপর্দার জনপ্রিয় চরিত্র।

সন্ধে হতে না হতেই বাড়িতে বেশিরভাগ বয়জ্যেষ্ঠ মানুষরা ব্যস্ত। কারণ, সেই সময় একের পর এক ধারাবাহিক দেখাই তাঁদের একমাত্র কাজ। বহুদিন আগেই সেই তালিকায় নাম জুড়েছিল ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের। সেই কবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে উদ্ধার করার কৌশল রপ্ত করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন ‘জবা’। সম্প্রতি ওই ধারাবাহিকের একটি পর্বে দেখানো হয়েছে, ‘জবা’র মেয়ের স্কুলে কেউ বা কারা বোমা বিস্ফোরণের ছক কষেছে। মানববোমা বানানো হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, যে কোনও শর্তে ‘জবা’র মেয়েকে শেষ করে দিতে হবে। তবে সেই খবর আগেই পেয়ে যান ‘জবা’। সন্তানরা বিপদের মধ্যে রয়েছে, খবর শুনে ততক্ষণে দুশ্চিন্তায় জ্ঞান হারাতে শুরু করেছেন অভিভাবকরা। স্থির থাকতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে ‘জবা’ দমে যাওয়ার পাত্রী নন। তিনি সুকৌশলে স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়েন। শুধুমাত্র কাঁচির সাহায্যে বোমার তার কেটে ফেলেন ‘জবা’। নিজে হাতে সরিয়ে রাখেন বোমা। বিপন্মুক্ত হন স্কুলে থাকা শিক্ষিকা, ছাত্রীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র পর ‘ক্ষীরের পুতুল’, ছোটপর্দায় ফের রূপকথার গল্প]

বিখ্যাত ধারাবাহিকের এই বোমা নিষ্ক্রিয়করণ পর্ব নিয়েই চলছে জোর আলোচনা। নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার ‘জবা’। তৈরি হয়েছে নানা মিম। কীভাবে ‘জবা’ কোনও নিরাপত্তা ছাড়া শুধুমাত্র কাঁচি দিয়ে শক্তিশালী বোমা নিষ্ক্রিয় করলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অক্সিজেন মাস্ক পরে আদালতের এজলাসে হাজির হয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন ‘জবা’।

Advertisement

হয় কোনও ভৌতিক বিষয় কিংবা পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্পকে হাতিয়ার করেই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য তৈরি করছেন কাহিনিকাররা। তবে সেক্ষেত্রে বারবার একাধিক ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। বিশেষত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাকে অবলম্বন করে এগনো ধারাবাহিকে তথ্যে ভুল থাকে বলেও সুর চড়িয়েছে দর্শকদের একাংশ। আবার কেউ কেউ বলেন, ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্যই নাকি কখনও অতিমানবীয় কাজকর্মকে তুলে ধরে চিত্রনাট্যে অন্যরকম ছোঁয়া দিতে চাইছেন কাহিনিকাররা। তার ফলে একাংশের মন জয় হয় তো হচ্ছে, টিআরপির গ্রাফও বেশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ধারাবাহিকের।

কিন্তু মনোবিদদের দাবি, ওই ধারাবাহিক থেকে মানসিক অবনমন হচ্ছে দর্শকদের। তার ফলে বাড়তে পারে মানসিক  জটিলতা বা  অপরাধের প্রবণতা। কিংবা ‘জবা’র মতো বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে অনেকের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ