সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যামেরার সামনে বিভিন্ন চরিত্রে ধরা দেন। নানা দৃষ্টিকোণে মানুষকে ভাবতে শেখান। সকলের মনের অন্দরে অনায়াসে পৌঁছে যান। কিন্তু তাঁরাও তো রক্তমাংসের মানুষ। আর মানুষ মাত্রেই অভ্যাসের দাস। কিছু অভ্যাস আবার বেশ অদ্ভুত হয়ে থাকে। কেমন? যেমন-
[কাপুর পরিবারে সানাইয়ের সুর, সোনম-আনন্দের বিয়েতে শামিল তারকারা]
১) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়: ক্যামেরার সামনে ও নেপথ্যে পারফেক্ট মানুষ। তবে শোনা যায়, ছেলে মিশুক যতবারই হস্টেলে যায়, ইন্ডাস্ট্রির সমার্থক মানুষটার মনও চঞ্চল হয়ে ওঠে। অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হয় তাঁর। বারবার মিশুকের ব্যাগ গোছাতে থাকেন। একবার নাকি পাঁচবার মিশুকের ব্যাগের জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়েছিলেন বুম্বাদা। একেই বলে পারফেকশনিস্ট!
২) আবির চট্টোপাধ্যায়: পর্দায় তিনি অকুতোভয় ব্যোমকেশ। তবে বাস্তব জীবনে কোথাও যেতে হলেই আবিরের মনে একটা ভয় ধরে যায়। নায়কের খালি মনে হয়, তিনি নিজের টিকিট ও প্রয়োজনীয় কাজগজপত্র হারিয়ে ফেলবেন। যদিও তা যথাস্থানেই থাকে।
৩) নুসরত জাহান: দীপিকা পাড়ুকোনের মতো নুসরতও ওসিডি অর্থাৎ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডারে ভোগেন। সারা একটা দিন তিনি বাড়ি পরিষ্কার করে ও জিনিসপত্র গুছিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন। এমনকী অন্যের বাড়িতেও কিছু অপরিষ্কার দেখলে পরিষ্কার করতে থাকেন।
৪) শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়: একই সমস্যা রয়েছে পর্দার শবর দাশগুপ্তেরও। একবার শাশ্বত বলেছিলেন, তিনি বাড়িতে থাকলেই নাকি স্ত্রী ও মেয়ে সতর্ক থাকেন। ঠিক জিনিসটা ঠিক জায়গায় না থাকলেই নাকি তাঁর বিরক্ত লাগে।
৫) তনুশ্রী চক্রবর্তী: পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নাকি খুবই স্পর্শকাতর তনুশ্রী। নিজের ঘরে ঢোকার আগেও নাকি তিনি মাকে দিয়ে আগে চেক করিয়ে নেন কোনও জায়গা অপরিচ্ছন্ন আছে কিনা। পাশাপাশি বারবার বাড়ির দরজা বন্ধ রয়েছে কিনা চেক করেন।
৬) পার্নো মিত্র: শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১২ থেকে ১৫টা ফোন হারিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী। এখন নিজের ফোন খুবই যত্নে রাখেন। কিন্তু ফোন সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে তাকে এমন স্থানে মাঝে মাঝে রেখে দেন, নিজেও খুঁজে পান না। আবার পরিবারের লোকেরাও খুঁজে পান না।
[যিশুর মেয়ে সারা শুধু নয়, সৃজিতের ‘উমা’য় থাকছে আরও চমক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.