Advertisement
Advertisement

Breaking News

Artificial coral reef to be made to improve sea fish farming

সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ, গভীর সমুদ্রে কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর তৈরির ভাবনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় গভীর সমুদ্রে আপাতত কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর তৈরি হবে।

Artificial coral reef to be made to improve sea fish farming । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 22, 2023 5:04 pm
  • Updated:March 22, 2023 5:04 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কথায় আছে, মাছেভাতে বাঙালি। আর বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে সামুদ্রিক মাছের চাহিদা যথেষ্টই। কিন্তু চাহিদার তুলনায় রকমারি সামুদ্রিক মাছের জোগান বড়ই কম। বাজারে দিন দিন আমদানি কমছে সেসব মাছের। এর একমাত্র কারণ বটম ট্রলিং। অর্থাৎ অধিক অর্থ উপার্জনের আশায় একশ্রেণির ট্রলার মালিকের অত্যধিক লোভের কারণে সমুদ্র ছেঁচে তুলে নেওয়া হচ্ছে বড় মাছের সঙ্গে মাছের পোনাও। প্রজনন হতে না দেওয়ার ফলস্বরূপ ক্রমেই ভাঁটা পড়ছে সামুদ্রিক মাছের জোগানে। সমুদ্রের তলদেশে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্যও। আর সেকথা ভেবেই এবার সমুদ্রের গভীরে কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর তৈরিতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।

Fish
পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই প্রথম বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্রের গভীরে থাকছে এই কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীরগুলি। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পর কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর তৈরি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সমুদ্রেও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার জানান, দেশের বিভিন্ন সমুদ্রে ভোলা, ভেটকি, ম্যাকরেল, টিউনা সহ রকমারি প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের আকাল চলছে। বাজারে ক্রমেই সেসব মাছের যোগান কমতে থাকায় এধরণের কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর তৈরি করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে গুজরাট, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরলে। এই ধরনের প্রকল্প তামিলনাড়ুতে অনেক বড় আকারে শুরু হয়েছে। উপকৃত হচ্ছেন সে রাজ্যের মৎস্যজীবীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’, সংসার সামলে পাখি পাহাড়ে গাইডের দায়িত্বে ৪১ জন মহিলা]

এরাজ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানার মৌসুনি, পাথরপ্রতিমার জি-প্লট ও সাগরদ্বীপে সমুদ্র গভীরে এ ধরনের মোট ৩০টি কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর গড়ে তোলা হবে। চলতি কথায় যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাছের ঘর’। আয়তাকার, বর্গাকার ও ত্রিভুজাকৃতি কংক্রিটের ব্লক তৈরি করে সেগুলি সমুদ্রসৈকত থেকে ১০-২০ কিলোমিটার দূরত্বে সমুদ্রের ৩০ ফুট গভীরে ভেসেলে নিয়ে গিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফেলা হবে। একেকটি ব্লকের ওজন হবে ২০০ কেজির মত এবং উচ্চতা হবে পাঁচ ফুট করে। তিনি জানান, কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ওই সমস্ত মাছের ঘরে সামুদ্রিক প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ এসে নিরাপদে আশ্রয় নেবে। হবে মাছের প্রজননও। মাছের বংশবৃদ্ধি ঘটলে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা পুরণও অনেক সহজ হবে। মৎস্যজীবীদের অস্তিত্বের যে সংকট চলছে তাও অনেকটাই দূর হবে।

Advertisement

Sea

‘মাছের ঘর’ বানাতে ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে জানিয়ে সহ মৎস অধিকর্তা বলেন, কংক্রিটের ব্লকগুলি তৈরি করে যে সমস্ত এলাকায় সমুদ্রের গভীরে সেগুলি ফেলা হবে, ফেলার পর সে সমস্ত এলাকায় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হবে। স্থানীয় মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে এ ব্যাপারে যথাযথভাবে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানাতে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। সমুদ্রে ট্রলার ও জাহাজ চলাচলের পথে যাতে ওই কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য আগেভাগেই সেই চ্যানেলগুলি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনায় সমুদ্র গভীরে এ ধরণের ‘মাছের ঘর’ তৈরিতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় কেন্দ্র ১১ কোটি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় সমুদ্রের উপযুক্ত এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: মালদহের বাজার কাঁপাচ্ছে ‘থাই আপেল কুল’, লাভের অঙ্কে মুখে হাসি কৃষকদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ