Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরি-জ্যাম বিক্রিতে উদ্যোগী প্রশাসন, আয়ের নতুন দিশা দেখেছেন পুরুলিয়ার মহিলারা

পুণে থেকে চারা এনে এই চাষ করা হয়।

Purulia District Administration took initiative in selling strawberry-jam
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 13, 2020 6:52 pm
  • Updated:March 13, 2020 9:43 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: অরণ্য সুন্দরী বান্দোয়ানের সবুজ উপত্যকায় ফলন হওয়া স্ট্রবেরি থেকে তৈরি হচ্ছে জ্যাম। আর সেই জ্যামের বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনই। জেলা প্রশাসনিক ভবনে একেবারে রাস্তার পাশে সেই জ্যাম-সহ নানান হস্তশিল্পকলা বিক্রি করার জন্য বিপণীর দরজাও খুলে দিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য জীবন জীবিকা মিশনের আনন্দধারা প্রকল্প থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য এই বিপণী খুলে দেয়।

মানবাজার এক নম্বর ব্লকের ধানাড়া দুর্গাময়ী এসএইচজি দল বান্দোয়ান থেকে স্ট্রবেরি নিয়ে এসে ওই ফল থেকে জ্যাম বানিয়েছে। সবুজ গাছে লালচে-লালচে ছোট স্ট্রবেরিতে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আয়ের দিশা দেখতে পাওয়ায় খুশি এই বনমহলের মহিলারা। চাষের জমিতে ফলন হওয়া ওই স্ট্রবেরি ছোট পাত্রে প্যাকেটবন্দি হয়ে ঝাড়গ্রাম, আসানসোল ঝাড়খণ্ডে রপ্তানি হলেও জেলায় এমন প্রক্রিয়াকরণে এই চাষে আরও উৎসাহ পেয়ে গিয়েছেন জঙ্গলমহলের মহিলারা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পুকুরে মাছের মড়কে ছড়িয়ে পড়ছে দূষণ, পদক্ষেপের আশ্বাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ]

অথচ এই বান্দোয়ানের লাল মাটি ছিল একসময় শুধুই আতঙ্কের। খু্‌ন, নাশকতা ছিল যেন নিত্যদিনের ঘটনা। একদা সেই মাও মুক্তাঞ্চল বান্দোয়ানকেই স্ট্রবেরি চাষে চিনছে ভিন জেলা সহ ঝাড়খণ্ড। সেই ফল কিনে নিয়ে তা প্রক্রিয়াকরণে সাফল্য মেলায় বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন ভীষণই খুশি। উদ্যানপালন দপ্তর ও একশো দিনের কাজের সঙ্গে কনভারজেন্স করে বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন এই প্রকল্প হাতে নেয় সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। এই ব্লকের গরুড় গ্রাম পঞ্চায়েতের হেতাকল গ্রামে আড়াই কাঠা জমিতে এই চাষ শুরু করে স্থানীয় মা সারদাময়ী স্বনির্ভরগোষ্ঠী। এই স্ট্রবেরি মার্কিন মুলুকে সবচেয়ে ভাল ফলন হয়। তবে এ দেশের এখন বহু জায়গাতেই ফলছে। কিন্তু প্রান্তিক পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এই চাষ বড় সাফল্য। পুণে থেকে চারা এনে এই চাষ করা হয়।

Advertisement

বান্দোয়ানের বিডিও শুভঙ্কর দাস বলেন, “এই ফলের চাষ থেকে প্রক্রিয়াকরণে জ্যাম হওয়ায় বাড়তি আয়ের দিশা পেলেন স্ট্রবেরি চাষে যুক্ত থাকা মহিলারা। এই চাষে তাদের উৎসাহ আরও বাড়ল।” তবে এই ফলের চাষে উৎসাহ দিতে বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসনকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তারা বুঝিয়েছে স্বল্প খরচে এই চাষে কীভাবে লাভের মুখ দেখা যায়। আসলে গতানুগতিক চাষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বের করে আনাটাই বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা যেন বড় সাফল্য পেল। বলা যায় স্ট্রবেরি চাষেই স্বনির্ভরতার স্বপ্ন এঁকে দিয়েছে বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন। যা আরও বিভিন্ন ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রসারিত হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে নজর রাজ্যের, পতিত জমি চিহ্নিত করে শুরু চাষযোগ্য করার পালা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ