Advertisement
Advertisement

Breaking News

নেই পানীয় জল-খাবার, রাস্তায় বিক্ষোভ কোভিড রোগীদের, অসমের মন্ত্রী বললেন, ‘বাড়িতে থাকুন’

কোভিডে কেয়ার সেন্টার থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন রোগীরা।

100 Patients Break Out Of Assam Covid Care Centre, Block Highway
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 17, 2020 4:52 pm
  • Updated:July 17, 2020 4:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকালই কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জল-খাবার না পেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন কোভিড আক্রান্তরা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। এবার একই ঘটনা ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে। কোভিড কেয়ার সেন্টারে পানীয় জল ও খাবার না পেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পথ অবরোধ করলেন অন্তত শখানেক কোভিড রোগী। গতকালই ঘটনাটি ঘটেছে সমের কামরূপ জেলায়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন রোগীরা।

জাতীয় সড়ক অবরোধের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছন কামরূপের ডিসি কৈলাস কার্তিক। চাংসারি কোভিড কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে করোনা রোগীদের ঠিকমতো দেখাশোনা না করার অভিযোগ উঠেছে। সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ডিসি। পুলিশকর্তার আশ্বাস পেয়ে কোভিড কেয়ার সেন্টারে ফিরে যান রোগীরা। রোগীদের অভিযোগ, তাঁদের ঠিকমতো পানীয় জল এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে না। বিছানার অবস্থাও খুব খারাপ বলে অভিযোগ করেছেন রোগীদের। তাঁদের বেশিরভাগই গাদাগাদি-ঘেষাঘেষি করে রয়েছেন। ১০-১২ জনকে সিঙ্গল রুম দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সরকার ম্যাজিশিয়ান নয়, মানিয়ে চলুন’, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিক্ষোভ নিয়ে মেজাজ হারালেন মমতা]

এই প্রসঙ্গে অসমের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) জানিয়েছেন, যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে রোগীদের কোভিড কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থায় অসন্তোষ থাকলে তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে আরও বলেন, ‘আমরা করোনা রোগীদের সেন্টারে নিয়ে এসেছি যাতে তাঁরা এখানে থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এবং তাঁদের থেকে কেউ সংক্রমিত যাতে না হতে পারে। কিন্তু তাঁদের যদি এখানে ভাল না লাগে তাহলে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা দিন-রাত এক করে কাজ করছেন। কিন্তু এত কাজের চাপে একটু তো দেরি হয়ে যেতেই পারে। অন্য রাজ্য কোভিড টেস্টের জন্যও টাকা নিচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যে টেস্টে থেকে রোগীদের থাকা-খাও, চিকিত্‍সার ব্যবস্থা সব সরকার করছে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে দেশে করোনা সংক্রমিত প্রায় ৩৫ হাজার, বাড়ল মৃত্যুও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ