প্রতীকী ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: জীবনদায়ী ওষুধেই লুকিয়ে বিষ! কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসি-র পরীক্ষায় ডাহা ফেল ১৪৫টি ওষুধের ব্যাচ। এর মধ্যে রয়েছে বহুল ব্যবহৃত প্যারাসিটামল,অ্যামোক্সিলিন-নরফ্লকসোসিনের মতো একাধিক অ্যান্টোবায়োটিক। এমনকী, তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ১৬টি ব্যাচের নামও। ওই ব্যাচগুলি জীবাণুমুক্ত নয় বলে জানা গিয়েছে কর্নাটক স্টেট ল্যাবের পরীক্ষায়।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসিও ১৪৫টি মেডিসিন ব্যাচকে প্রত্যাশিত গুণমানের নয় (Not Of Standard Quality) বলে চিহ্নিত করেছে। এই ১৪৫টি ওষুধের মধ্যে ৯৩টি প্রত্যাশিত গুণমানের নয় চিহ্নিত হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের ল্যাবে। আর বাকি ৫২টি ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে। জানুয়ারি মাসের সেই রিপোর্ট চোখ কপালে সকলের। কী কী ওষুধ রয়েছে এই তালিকায়?
বিভিন্ন রোগের মোকাবিলায় বাজারে যে সব ওষুধ বিক্রি করা হয় নিয়মিত তার পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিডিএসসিও-এর। তাতেই দেখা গিয়েছে জ্বর-গ্যাস-ব্যথার একাধিক ওষুধ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্যারাসিটামল ৬৫০, অ্যামোক্সিলিন, সেট্রিজিন, নরফ্লোক্সোসিনের মতো বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। এছাড়াও রয়েছে অন্ডেম, প্যান্টোপ্রাজল গ্রুপের একাধিক ওষুধের ব্যাচ। এমনকী, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ১৬টি ব্যাচের নামও রয়েছে তালিকায়। বলা হয়েছে, এগুলো জীবাণুমুক্ত নয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সিডিএসসিও-র গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল ৫৩টি ওষুধ। যেখানে প্যারাসিটামল ছাড়াও ছিল ক্ল্যাভাম ৬২৫-এর মতো বহু পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্যান-ডির মতো বহুল ব্যবহৃত হজমের ওষুধও। ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি থ্রি সাপ্লিমেন্ট, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধও ছিল বিপজ্জনক তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বহুল জনপ্রিয় সব ওষুধ যদি গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক কতখানি নিরাপদ?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.