সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন (Lock down) নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করতে বারণ করেছিলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। না হলে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার জবাবে এলাকায় করোনা ভাইরাস ছড়ানোর হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হল তিন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মাইসুরুর টেন্ডেকারে এলাকায়। ধৃতদের নাম মহেশ, অভি ও শ্রীনিবাস।
ঘটনাটির সূত্রপাত হয় গত ৮ এপ্রিল। ওইদিন রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মাইসুরুর টেন্ডেকারে এলাকার জকি কারখানার কাছে থাকা চেকপোস্টে একটি অটোকে আটকান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ওই অটোতে থাকা তিন যুবককে লকডাউনের সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেন রাস্তায় বেরিয়েছে তা জিজ্ঞাসা করেন। এরপরই অটো থেকে নেমে আসে ওই যুবকরা। মহেশ নামে যুবকটি নিজের হাতে থাকা কোয়ারেন্টাইনের স্ট্যাম্প দেখিয়ে বলে সে করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে আসছে। পুলিশ যদি তাদের গ্রেপ্তার করে তাহলে ওই এলাকায় করোন ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেবে। এই কথা শুনে ঘাবড়ে যান ওখানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। আর এই সুযোগে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে কেআর পেট তালুকের তহশিলদার এম শিবমূর্তিকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থল থেকে আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বুকানাকারে হুবলির ভাল্লেকারে গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: লকডাউন ভাঙার শাস্তি উত্তরাখণ্ডে! ৫০০ বার ‘সরি’ লিখলেন বিদেশি পর্যটকরা ]
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের মানুষ। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য এটাই একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করছেন তাবড় তাবড বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা মেনে নিয়ে প্রায় সব দেশের সরকারই হয় লকডাউন নয়তো জরুরি অবস্থা জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষও শত অসুবিধা আর দারিদ্র্যের জ্বালা সহ্য করে নিজের ও পরিবারের প্রিয়জনদের প্রাণ বাঁচানো স্বার্থে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষরা ছাড়া অন্যরা নিতান্ত দরকার না থাকলে বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু, এর মাঝেই কিছু কিছু জায়গায় জমায়েত করতে দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষকে। নিছক আড্ডা বা ধর্মীয় জমায়েতের নাম লকডাউনের নিয়ম ভাঙছে অনেকে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকমের চেষ্টা হলেও সবক্ষেত্রে নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকেই ঠিক করতে হবে তাঁরা কোনটা বেছে নেবেন? অযথা ঘোরাফেরা করে নিজের, পরিবারের ও সমাজের বিপদ বাড়াবেন? না, সরকারি নির্দেশ মেনে ঘরবন্দি থেকে করোনাসুরের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের শেষ দৃশ্যটা দেখবেন!