৯৯-এও লাগাম নেই লালসায়, নাবালিকাকে ধর্ষণ বৃদ্ধের

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর রাজধানী শহর চেন্নাই। বছর দশেকের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর নিরানব্বইয়ের বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তের বাড়িতেই ভাড়া নিয়ে থাকে। শনিবার রাতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

[ধর্ষণে উদ্যত স্বামী, সম্পর্ক ভুলে নাবালিকার সম্ভ্রম বাঁচাল স্ত্রী]

জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। সে চেন্নাইয়েরই একটি স্কুলে প্রিন্সিপাল ছিল। অভিযোগ, শনিবার জোর করেই নাবালিকাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় ওই ব্যক্তি। শনিবার দুপুরে  ঘটে নক্ক্যারজনক ঘটনাটি। শিশুটি যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে বাড়িতে এলে অভিভাবকরা কী হয়েছে জানতে চান। তারপরই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। একই সঙ্গে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। ওই দিন সন্ধ্যাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের আওতায় মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বৃদ্ধ বাড়িওয়ালা। বলাবাহুল্য, নির্যাতিতার বয়সী পৌত্রী রয়েছে ধৃতের। সাত সন্তানের বাবা, বিরাট পরিবার। পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে। পরিবারের সকলেই তামিলনাড়ুর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেন। এমনিতে জমিজমা থাকায় নিত্যনতুন বাড়ি তৈরি করে ভাড়া দিয়েই রোজগার করে সে। চেন্নাই শহরে পাঁচটি বাড়ি রয়েছে ধৃতের। তারই একটিতে প্রায় দু’বছর ধরে ভাড়া নিয়ে থাকছে নির্যাতিতার পরিবার।

[ঘুষ দিতে অপারগ বাবা, সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু নাবালকের]

উল্লেখ্য, কাঠুয়া, উন্নাও গণধর্ষণ এখনও ফিকে হয়নি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মান্দাসৌর গণধর্ষণের ঘটনা। তারপরেও গত সপ্তাহেই ফের গণধর্ষণ কাণ্ডে শিরোনামে আসে মধ্যপ্রদেশ। এক্ষেত্রেও নির্যাতিতা একজন নাবালিকা। এদিকে স্বামীর যৌন লালসার হাত থেকে নাবালিকার সম্ভ্রম বাঁচিয়ে দৃষ্টান্ত গড়লেন গৃহবধূ। তাও সেই মদ্যপ্রদেশেই। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল চেন্নাইতে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মা। একই দাবি স্থানীয়দেরও। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ধৃতের পরিবারের সদস্যরা।