Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gyanvapi 'shivling'

এবার মোদির কাছে বন্দুকের লাইসেন্স চাইলেন শিবলিঙ্গ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা অধ্যাপক

জ্ঞানবাপী মসজিদের 'শিবলিঙ্গ' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অধ্যাপক।

A Delhi University prof asks PM Modi for gun license after his Gyanvapi 'shivling' comment | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 18, 2022 8:05 pm
  • Updated:May 18, 2022 8:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) জলাশয়ে শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়েছে, এমন দাবির পর তা নিয়ে মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এরই মধ্যে ওই শিবলিঙ্গ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপদে পড়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। ওই মন্তব্যের জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে বন্দুকের লাইসেন্স চাইলেন তিনি।

দিন দুই আগেই জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) জলাশয়ে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই শিবলিঙ্গের ছবি পোস্ট করেন ইতিহাসের অধ্যাপক রতন লাল (Ratan Lal)। পোস্টে হিন্দিতে লেখেন, “এটা যদি শিবলিঙ্গ হয় তবে ধরে নিতে হয় শিব ঠাকুরেরও সুন্নত হয়েছিল।” রতন লালের এই মন্তব্যেই আগুন জ্বলে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অধ্যাপকের এমন মন্তব্যের পর ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনদের বড় অংশ। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ রতন লালের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে অধ্যাপক জানিয়েছেন, ওই পোস্টের পর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এই অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য মোদিকে চিঠি লিখেছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ন্যানো চেপেই মুম্বইয়ের হোটেলে রতন টাটা, ভাইরাল ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা]

রতন লাল বলেন, “উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটিকে দেখে মনে হয়নি সেটা ভাঙা। বরং যেন উপরের অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি কী ভুল বলেছি? মুসলিমরা এদেশের মানুষকে ধর্মান্তরিত করত। এই কাজটাই ওরা সবার আগে করত। সুন্নতই ছিল প্রথম পদক্ষেপ।” রতন লালের বক্তব্য, তিনি ইতিহাস পড়ে এই মন্তব্য করেছেন। এটা তার নিজস্ব মতামত। অধ্যাপকের কথায়, “আমাকে মতামত দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটা তো এক নায়কতন্ত্র! এই বিষয়ে প্রকৃত সত্য জানতে হলে ইতিহাসবিদদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হোক।” অধ্যাপক আরও বলেন, “কেউ জানে না কবে ওই মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল। আসলে সবটাই ২০২৪-এর নির্বাচনের এজেন্ডা নির্ধারণের কৌশল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত এক, বিচারের দাবিতে পথ অবরোধ পরিবারের]

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল, সেই স্থানটি সিল করে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। তবে মসজিদে নমাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, কোনও ভাবেই মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া যাবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ