Advertisement
Advertisement
লকডাউন

৩৬ ঘণ্টায় হাঁটলেন ৮০ কিমি! লকডাউনে রাস্তায় বেরিয়ে গ্রেপ্তার যুবক

উপায় নেই দেখে রাস্তায় বেরোন যুবক।

A UP guy detained by UP cops for walking on road in Lockdown
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 25, 2020 4:55 pm
  • Updated:March 25, 2020 4:55 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার দুপুরে মাথার ওপর চড়া রোদ। শুনশান ফাঁকা রাস্তা। তবু সে হেঁটে চলেছে। কোনও কিছুই যেন তাঁকে আটকে রাখতে পারবে না। তবে তাঁকে আটকাতে পথের সামনে লাঠি হাতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে। লকডাউনে রাস্তায় বেরোনোর জন্য গ্রেপ্তার করা হল বছর ২০-র এক যুবককে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন লকডাউনের অর্থ হল বাড়ি থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া দেশে মিলবে না কিছুই। তাই যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই আগামী ২১ দিন থেকে যান। কিন্তু না, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে লকডাউনের প্রথম দিনেই নিয়ম ভেঙে রাস্তায় দেখা গেল এক যুবককে। জানা যায়, বছর কুড়ির এই যুবকের নাম অবধেশ কুমার। উন্নাও জেলায় স্টিল ফেব্রিকেশন কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সংস্থার ম্যানেজার তাঁকে ছুটি দিয়ে চলে যেতে বলেন। তাই উপায় না দেখে পায়ে হেঁটেই ফিরছিলেন বারাবাঁকি জেলায় গ্রামের বাড়ি।

Advertisement

টানা ৩৬ ঘণ্টা হেঁটে ফেলেছিলেন তিনি। মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য থেমেছেন কয়েকবার। হিসেব করেছিলেন ওইভাবে হাঁটতে থাকলে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ঠিক পৌঁছে যাবেন বাড়িতে। কিন্তু তার আগেই বুধবার দুপুরে লখনউতে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে আটক করার পরে পুলিশকর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন, মোদি কী বলেছেন তুমি কি শোনোনি? তিনি তো বলেছেন, যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। তুমি রাস্তায় বেরিয়েছিলে কেন? উত্তরে অবধেশ জানান, “তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ অমান্য করেননি, বরং কিছুটা বাধ্য হয়েই অমান্য করেছেন। অবধেশ এও জানান, কারখানার ম্যানেজার আমাদের ছুটি দিয়ে বলেন সেখানে কারও থাকা চলবে না। সুতরাং আমরা ২০ জন শ্রমিক বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। রাস্তায় যানবাহন না পেয়ে আমরা ঠিক করলাম, হেঁটেই বাড়ি যাব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে সক্ষম? ম্যালেরিয়ার ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের]

অবধেশের কথায়, “রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সকলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে দেশের এই বিপদের সময়ে তারা কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। কিন্তু এই সব শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আমাদের হেঁটে যেতে হত না। কোম্পানি ছুটি দিয়ে দেওয়ার পর আমাদের মতো শ্রমিকদের রাতে থাকার মতো আশ্রয়ও নেই।”

[আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে সক্ষম? ম্যালেরিয়ার ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ