সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বহরমপুরের মানুষজন তাঁকে ‘রবিনহুড’ নামে ডাকেন। গরিব মানুষের যে কোনও সমস্যা সমাধানে তিনি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেন। দেখেন না কোনও দলীয় পতাকা। সেই অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছে ‘রবিনহুড’ হয়ে উঠছেন। তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগের কথা।
The massive desperate exodus of famished workers from Delhi and other cities is an eloquent testament of some unforgivable deficiencies of containment strategy, govt should plug loopholes by whatever means , if necessary do not dither to call in army to deal with any exigencies
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) March 28, 2020
গোয়া, কেরল, উত্তরাখণ্ড, বিহার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বাঙালির সাহায্য করতে কার্যত সমান্তরাল সরকারের মতো কাজ করছেন বহরমপুরের সাংসদ। খবর পেয়ে কোথাও তিনি যোগাযোগ করছেন স্থানীয় মুখ্যসচিব, ডিজি, আইজি, জেলাশাসকদের সঙ্গে। কোথাও মোবাইলে ধরছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক, সাংসদদের। রাজস্থান, পাঞ্জাবের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করছেন, তো কোথাও আবার নিজের পরিচিত বন্ধু, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করছেন খাবার, ওষুধ, বাসস্থানের।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৩০ লাখ ও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের এক মাসের বেতন দান করেছেন। রবিবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন নিজের এমপি ল্যাড থেকে এক কোটি টাকা তিনি করোনা প্রতিরোধে সরকারকে অনুদান দিচ্ছেন।করোনা মোকাবিলায় অন্য সাংসদরা যখন যে যাঁর কেন্দ্রে ফিরে গিয়ে নিজেদের মতো জনসেবা করছেন, তখন দিল্লিতে হুমায়ুন রোডের বাংলোয় অফিস সাজিয়ে বসেছেন। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছেন গোটা দেশে আটকে পড়া বাঙালির সাহায্যের কাজ।
বর্তমানে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালিদের সাহায্য করতে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি, তাতে সত্যকারের নেতারই পরিচয় মিলছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার মতো প্রথম সারির নেতারা যখন সরকারকে দোষারোপ করছেন, অন্যরা যখন নিজেদের কেন্দ্র নিয়ে ব্যস্ত, অধীর তখন নীরবেই হয়ে উঠছেন জাতীয় পর্যায়ের নেতা।থুড়ি ত্রাতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.