পরিযায়ী শ্রমিক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পর এবার কেরল। রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল। নিজেদের বাড়ি ফিরতে চেয়ে রীতিমতো আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। হাতজোড় অনুরোধ করছেন রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার।এমনকী লকডাউন চলাকালীন তাঁদের খাবার, থাকার জায়গার ব্যবস্থার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। কিন্তু তাঁদের কথা কানে তুলতে নারাজ ঠিকা শ্রমিকরা। ফলে দিল্লির পর লকডাউনের মধ্যে এবার কেরলের পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
২১ দিনের জন্য দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন চলাকালীন দেশবাসীর জন্য খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন রাখার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না অনেকেই। ফলে লকডাউনের মাঝেই কাজের জায়গা ছেড়ে বাড়ি ফিরতে উদ্যোগী হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঠিকা শ্রমিকরা যেভাবে কেরলের রাস্তায় বেরিয়ে আন্দোলন করছেন তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে। এমনিতেই কেরলে ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শো জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শনিবার রাত থেকে কেরলের রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন ঠিকা শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, উত্তরপ্রদেশে সরকারের মতো তাঁদের বাড়ি ফেরাতে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। ঠিকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে কৈাট্টায়ামের পুলিশ এসপি জয়দেব জি হাতজোর করে অনুরোধ করেন। বলেন, “লকডাউন চলাকালীন আপনাদের কারোর খাবারের অভাব হবে না। সুরক্ষিতভাবে থাকবেন। আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা আমি করব। কথা দিচ্ছি।” কিন্তু সেই কথা কানে তোলেননি কেউ। কিন্তু ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য বাসের ব্যবস্থা কেরল সরকার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের তরফে অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কেউ অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলে, ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কেরলের মন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.