সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই দিল্লির (Delhi) নিম্ন আদালতে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে (Shraddha Walkar) খুনের কথা স্বীকার করেছে আফতাব আমিন পুণাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। জানিয়েছে, রাগের মাথায় প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেছিল সে। আফতাবের এই ‘রাগ’ যে পুরনো তা বুধবার রীতিমতো তথ্য প্রমাণের আকারে প্রকাশ্যে এল। দু’বছর আগেই আফতাবের নামে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছিল শ্রদ্ধা। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, আফতাব তাঁকে মারধর করে। এমনকী কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। দু’বছর পর বাস্তবে সেই কাজ করে আফতাব।
২০২০ সালে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ভেসাই শহরতলিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন শ্রদ্ধা-আফতাব। ওই বছর ২৩ নভেম্বরে পুলিশকে লেখা চিঠিতে শ্রদ্ধা অভিযোগ করেন, আফতাব তাঁকে মারধর করে। আফতাবের পরিবারও এই বিষয়ে জানে। খুনের তদন্তে নেমে ওই চিঠির কথা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। যেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল, আফতাব তাঁকে কেটে টুকরে করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল। শ্রদ্ধার0 অভিযোগ পেয়ে ভাসাই পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখছেন দিল্লির তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘কাতারকে কড়া বার্তা দেবে ভারত’, জাকির নায়কের বক্তৃতার বিরোধিতায় সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
উল্লেখ্য, আগেই শ্রদ্ধার বন্ধুরা আফতাবের নৃশংস মারকুটে আচরণের কথা জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালে লেখা পুলিশকে লেখা শ্রদ্ধার অভিযোগপত্র বান্ধবীদের বক্তব্যে সিলমোহর দিল। এছাড়াও শ্রদ্ধার হোয়াটাসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ইনস্টাগ্রামে (Instagram) পুরনো ছবিতে নাকে-মুখে মারধরের দাগ রয়েছে। যার নেপথ্যে আফতাব বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এত কিছুর পরেও আফতাবকে খুনি প্রমাণ করা সহজ হবে না বলেই মত সরকারি আইনজীবীর। কেন? কারণ আফতাব আদালতে খুনের কথা স্বীকার করলেও জেলা শাসকের সামনে এই স্বীকারোক্তি করেনি।
Shraddha walkar could have been saved if Udhav Thackeray police acted on her complaint.
See the date.
Shame!
Is this is the secularism opposition talks about? pic.twitter.com/sStMV1YMoM
— Gayathri Bandari (@GayathriBDevi) November 23, 2022
[আরও পড়ুন: শাহরুখের ছবির গান ব্যবহার করে শ্রদ্ধা খুন নিয়ে ভিডিও! নেটিজেনদের রোষানলে ইনস্টাগ্রাম স্টার]
প্রসঙ্গত, ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক।