Advertisement
Advertisement

শেষ চক্রব্যূহ রচনা, চিনকে ঠেকাতে এবার ভারতের সঙ্গী জাপান

নাগপাশে আবদ্ধ হবে চিনা নৌবহর।

After Australia India set to ink defence pact with Japan
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 5, 2020 11:57 am
  • Updated:June 5, 2020 12:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে দ্রুত বদলাচ্ছে সমীকরণ। আমূল পালটে যাচ্ছে সামরিক ও কৌশলগত হিসেব-নিকেশ৷ এহেন টালমাটাল সময়ে চিনকে চাপে রাখতে এবার ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে নয়াদিল্লি বলে খবর।

[আরও পড়ুন: ‘ড্রাগন’ বধে নয়া ফাঁদ, অস্ট্রেলিয়ার সেনাঘাঁটিতে পা রাখবে ভারতীয় ফৌজ!]

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (Indian Oceam Region) চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে শীঘ্রই জাপানের সঙ্গে mutual logistics support arrangement (MLSA) বা পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছে ভারত। উল্লেখ্য, গতকাল বা বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে MLSA চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মোদি সরকার। এই চুক্তির ফলে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে দু’দেশের মধ্যে সামরিক শক্তি বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়ে গেল৷ তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, চুক্তির অনুসারী অস্ট্রেলিয়ার সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে উপরোক্ত দুই মহাসাগরেই অবাধে পাড়ি দিতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। এর ফলে চিনা নৌবাহিনীকে এক চক্রব্যূহর মধ্যে ঘিরে ফেলা যাবে। প্রসঙ্গত, আগেই আমেরিকা, ফ্রান্স, সাউথ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। এর ফলে ওই দেশগুলির নৌসেনা ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌবহর। পাশাপাশি, ভিয়েতনামের সঙ্গে ক্রমশ সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে নয়া দিল্লি৷ ভিয়েতনামকে ভয়ঙ্কর আকাশ মিসাইলও সরবরাহ করতে পারে ভারত৷

Advertisement

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে চিনের বিরুদ্ধে সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে একর পর এক সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করে লাল ফৌজের বিরুদ্ধে চক্রব্যূহ রচনা করছে ভারত। আমেরিকার সঙ্গে ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত Logistics Exchange Memorandum of Agreement (LEMOA) চুক্তির সুবাদে হর্ন অফ আফ্রিকায় জিবউতি, ভারত মহাসাগরে ডিয়েগো গার্সিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়ামে মার্কিন ফৌজের ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় রণতরীগুলি। এর ফলে চিনা নৌবহরকে একটি নাগপাশে আবদ্ধ করে ফেলা সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তির ফলে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরেও অবাধ গতিবিধি থাকবে ভারতীয় নৌসেনার। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত কূটনৈতিক তথা কৌশলগত দুরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে বেজিংকে রীতিমতো কোণঠাসা করার চেষ্টা অনেকটাই সফল হয়েছে নয়াদিল্লির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতকে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের, জি-৭ নিয়ে সপ্তমে চিনের মেজাজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ