সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাত থেকে মেহেন্দির দাগ ওঠেনি। ওঠার কথাও নয়। বিয়ের পিঁড়িতে বসার ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। রাতের সানাইয়ের রেশ তখনও পড়শিদের কানে। সকাল হতে না হতেই পরীক্ষার হলে পৌঁছে গেলেন তরুণী। মাথায় ঘোমটা টেনেই বসলেন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায়। সদ্য পরিণীতার এই মানসিক দৃঢ়তায় চমকে উঠেছে দেশবাসী।
[ অভিনেতার স্ত্রীর সামনেই হস্তমৈথুন চালকের, পুলিশের জালে অভিযুক্ত ]
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের ওই তরুণীর নাম স্বপ্না। সোমবার রাতে তাঁর বিয়ে হয়। বাড়ির সকলের মত নিয়েই আনুষ্ঠানিক বিয়ে। বিয়েতে আপত্তি ছিল না তরুণীর। তবে মনে মনে পণ করেছিলেন, বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। ঘটনাচক্রে বিয়ের পরদিনই ছিল পরীক্ষা। রাতে বিয়ের পর সকালে পরীক্ষাহলে আদৌ পৌঁছাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে খানিকটা সন্দেহ ছিলই। তবে মনের জোর হারাননি। ভালয় ভালয় বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে যায়। অতিথি-অভ্যাগতরাও ফিরে যান। এরপরই মায়ের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেন ওই তরুণী। আপত্তি করেননি অভিভাবকরা। তবে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এতে রাজি হবেন কিনা, তাও একটা বড় বিষয় ছিল। বিশেষত বিয়ের পরদিনই অনুমতি না মিললে একটা বছর নষ্ট হত স্বপ্নার। তরুণীর অভিভাবকরাই মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান তাঁদের। গররাজি হননি তাঁরাও। ফলে পরীক্ষা দেওয়ার পথে আর কোনও বাধা ছিল না। সকালে বিবাহের পরবর্তী অনুষ্ঠান শেষ করেই পরীক্ষাহলের উদ্দেশে রওনা দেন স্বপ্না।
[ হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান, ঘর পেলেন না স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ]
নিজের স্বপ্নপূরণের কথা জানিয়ে স্বপ্না বলেন, তিনি বরাবরই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছেন। বিয়ে ঠিক হয়েছে পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী। তাতে কোনও আপত্তি নেই স্বপ্নার। তিনি চেয়েছিলেন, বিয়ের পরও পড়া চালিয়ে যেতে। দুই বাড়ির সদস্যরাই যে তাতে রাজি হয়েছেন, এতেই খুশি স্বপ্না। খুশি তাঁর শিক্ষিকা ও সহাপাঠীরাও। তাঁর জেদ যেন নারীশিক্ষার পথ দেখাচ্ছে গোটা দেশের তরুণীদেরই।
#Agra: After her wedding at night, a girl reached examination center in the morning to appear for her 12th board exam. (20.02.2018) pic.twitter.com/EF7vSMTE9j
— ANI UP (@ANINewsUP) February 21, 2018