Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওয়েইসি ইমরান

‘নিজের দেশের কথা ভাবুন’, ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করায় ইমরান খানকে তোপ ওয়েইসির

ভারতকে তুলোধোনা করতে গিয়ে হাসির খোরাক পাক প্রধানমন্ত্রী।

AIMIM leader Asaduddin Owaisi slams Imran Khan for tweeting fake video
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 5, 2020 9:23 am
  • Updated:January 5, 2020 4:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের দরবারে ভারতকে অপদস্থ করতে গিয়ে নিজেই হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা তুলে ধরে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে গিয়ে বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করে বসেন তিনি। তারপর থেকেই নেটদুনিয়ার কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ইমরান। এবার তাঁকে একহাত নিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমইন (AIMIM) প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। পাক প্রধানমন্ত্রীর ভুয়ো ভিডিও পোস্টের পর শনিবার ওয়েইসি বলেন, ইমরান খান যেন ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তা ছেড়ে নিজের দেশের কথা ভাবেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (NRC) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন ওয়েইসি এবং তাঁর দল। CAA আন্দোলনে শামিল হয়ে প্রতিবারেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাণ্ডকারখানা বেশি অবাক করেছে তাঁকে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেটিকে ভারতের বলে দাবি করেছেন। মিস্টার খান, নিজের দেশ নিয়ে চিন্তা করুন। আমরা জিন্নার ভুল তত্ত্ব খারিজ করেছি। আমরা গর্বিত ভারতীয় মুসলিম এবং চিরকাল তেমনটাই থাকব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘এবার রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর পালা’, CAA নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই হুমকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]

শুক্রবার বিকেলে শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের স্মৃতিবিজড়িত পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের (Nankana Sahib) গুরুদ্বারে ইটবৃষ্টি করা হয়। জানা যায়, সম্প্রতি একটি শিখ তরুণীকে অপহরণের পরে জোর করে বিয়ে করে স্থানীয় এক মুসলিম যুবক। পরে মেয়েটির বাড়ির লোক ছেলেটিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তার জেরে স্থানীয় মুসলিমরা একজোট হয়ে শিখ গুরুদ্বারে হামলা চালায়। চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে পাথর ছোঁড়া হয়। গুরুদ্বার ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হবে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। আতঙ্ক ছড়ায় গুরুদ্বারের ভিতর আটকে পড়া মানুষদের মধ্যে। পার্শ্ববর্তী শিখ জনবসতি এলাকাগুলিও ত্রস্ত হয়ে ওঠে। মুসলিমদের তাণ্ডবের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাহায্যের আবেদন জানান গুরুদ্বারে আটক পড়া মানুষজন। এরপরই এই বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং।

Advertisement

তার জবাবেই ওই ভুয়ো পোস্টটি করেন ইমরান খান। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ভারতীয় মুসলিমদের বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু দেখা যায়, সেটি আসলে বাংলাদেশের একটি ভিডিও। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয়দের কটাক্ষের শিকার হন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছুক্ষণের মধ্যে পোস্টটি মুছেও ফেলেন ইমরান। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তদের পাশে প্রিয়াঙ্কা, পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস নেত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ