১৮ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ২ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

গুরুগ্রামে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার শিলিগুড়ির বিমান সেবিকার ঝুলন্ত দেহ

Published by: Soumya Mukherjee |    Posted: December 19, 2019 4:18 pm|    Updated: December 19, 2019 4:21 pm

Air Hostess Found Hanging In Gurgaon, Father Suspects Home Owner

ছবি: প্রতীকী

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুগ্রামের একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল শিলিগুড়ির এক যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত যুবতী মিষ্টু সরকার দিল্লির একটি বেসরকারি বিমান সংস্থায় (Private Airline) কর্মরত ছিলেন। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ছেড়ে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ-৩ এলাকায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। বুধবার সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার জেরে গুরুগ্রামের ওই ভাড়াবাড়ির মালিকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন মিষ্টুর বাবা এইচসি সরকার। ওই ব্যক্তির খারাপ ব্যবহারের কারণেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত দুটোর সময় আমাকে ফোন করেছিল মিষ্টু। গলা শুনে মনে হচ্ছিল প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট পেয়েছে। কারণ জানতে চাইলে ও আমাকে বলে বাড়ির মালিক ক্রমাগত হেনস্তা করছে। এমনকী ওই রাতে যখন সে ঘরে ঢুকছিল তখনও হেনস্তা করে। এতে ও প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমার সঙ্গেও খুব আস্তে কথা বলছিল। বাড়ির মালিক মোবাইলটি ফোন হ্যাক করে আমার মেয়ে কোথাও যেতে দিচ্ছিল না বলেও অভিযোগ করছিল।’

[আরও পড়ুন: CAA’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মনমোহন! ভিডিও টুইট করে দাবি বিজেপির]

 

বাড়ির মালিকের হেনস্তার জেরে মিষ্টু শিলিগুড়ির বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তাঁর বাবা। কিন্তু, মেয়ের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে বলে জানান। বলেন, ‘কিছুক্ষণ বাদে ওই বাড়ির মালিক আমাকে ফোন করে জানায় মিষ্টু একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু, আমি কী হয়েছে জানতে চাইলে কোনও উত্তর দেয়নি। এরপরই গুরগ্রাম পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানাই। যখন পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন আমার মেয়ের শরীর সিলিংফ্যান থেকে ঝুলছে। আমার সন্দেহ যে মেয়ে যেখানে পেয়িং গেস্ট থাকত, সেই বাড়ির মালিক নিশ্চয় কিছু করছে। যার ফলে আমার মেয়ে দুঃখ পেয়েছিল। তবে আমার সঙ্গে ফোন কথা বলার সময় ও যে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা কখনই মনে হয়নি।’ 

[আরও পড়ুন: ‘কোনও হিন্দুরাষ্ট্র নেই তাই CAA জরুরি’, বললেন নীতীন গড়করি]

 

গুরুগ্রাম পুলিশের তদন্ত আধিকারিক রামনিবাস বলেন, ‘মৃতদেহটি সিলিংফ্যান থেকে ঝুলছিল। আমরা মৃতদেহের পাশ থেকে বা ওই ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট খুঁজে পাইনি। আমাদের ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে